২৪ অক্টোবর ২০২৫

এ সপ্তাহেও নিলামে উঠেনি সাবেক এমপিদের গাড়ি

সাবেক এমপিদের শুল্কমুক্ত ৩০টি গাড়ি চলতি সপ্তাহে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের নিলামে উঠার কথা থাকলেও, শুল্কায়ন শাখা থেকে দর নির্ধারণের কাজ শেষ না হওয়ায় নিলামে উঠেনি গাড়িগুলো।

মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) থেকে ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত পণ্য দেখে দর হাঁকতে বলা হয়েছে নিলামে আগ্রহীদের। সোমবার (২৭ জানুয়ারি) সকাল ৯টা থেকে ১২ ফেব্রুয়ারি দুপুর ২টা পর্যন্ত এই নিলামের প্রস্তাবিত মূল্য জমা দিতে পারবেন তারা। ৮৩ লটে কয়লা, পেপার, ব্যাগসহ পোশাক শিল্পে ব্যবহৃত নানা উপকরণ নিলামে তুলেছে সংস্থাটি।

চট্টগ্রাম কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, ১৩ হাজার ২১৯ কিলোগ্রাম কয়লা, পেপার, ব্যাগসহ পোশাক শিল্পে ব্যবহৃত কাপড় ও প্রয়োজনীয় উপকরণের ৮৩ লট পণ্য নিলামে তোলা হয়েছে। এতে ২২ লট পণ্য দ্বিতীয়বারের মতো এবং ৫ লট পণ্য তৃতীয়বারের মতো নিলামে উঠেছে। ১২ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত এ নিলামের পণ্য বিডারদের দেখানো হবে ২৮ জানুয়ারি থেকে ৩০ জানুয়ারি।

চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজের নিলাম ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. এয়াকুব চৌধুরী বলেন, ‘আমরা তো সবাই গাড়ির নিলামের জন্য অপেক্ষা করছিলাম। কাস্টম হাউস যেভাবে ফলাও করে প্রচার করেছে, নিলামের কাজে তো এখনও ধীরগতি দেখছি। নৌ-পরিবহন উপদেষ্টার মহোদয়ের নির্দেশনা ছিলো ৩০ জানুয়ারির মধ্যে গাড়িগুলো নিলামে তোলার। সেটাতো তারা করতে পারেনি। এখন হয়তো উপদেষ্টার কথা মানতে ৩০ জানুয়ারিতে হয়তো ক্যাটালগ প্রকাশ করবে। গার্মেন্টস আইটেমেও বিডারদের আগ্রহ থাকে। কিন্তু এজন্য কাস্টম হাউসকে এ তথ্য ছড়িয়ে দিতে আন্তরিক ভূমিকা রাখতে হবে।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের মুখপাত্র ও উপ-কমিশনার মো. সাইদুল ইসলাম বলেন, সাবেক এমপিদের গাড়ির একটি নিলাম তোলার কথা ছিল। ওটার সবধরনের কাজ শেষ। শুল্কায়ন শাখা থেকে দর নির্ধারণ করার পরে তোলা হবে। এটি আশা করছি আগামী মাসেই তোলা যাবে।’

তিনি আরো বলেন, ‘অনলাইনের পাশাপাশি অফলাইনেও আমরা নিলাম করে চট্টগ্রাম বন্দরের অভ্যন্তরে থাকা কনটেইনারগুলো দ্রুত সময়ে খালি করার চেষ্টা করছি। অফলাইনে আমরা বিশেষ করে পচনশীল পণ্যের নিলাম করছি। গত দুইদিন আগেও খেজুরের নিলাম হয়েছে। সামনের ই-অকশনে উল্লেখযোগ্যভাবে পোশাক শিল্পের বিভিন্ন উপকরণ তোলা হয়েছে।

দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফায় নিলামে তোলার কারণ জানতে চাইলে কাস্টম মুখপাত্র বলেন, ‘কিছু পণ্যের লটের ক্ষেত্রে বিডাররা টাকা জমা করতে দেরি করেন। একপর্যায়ে আইনানুযায়ী সময়ে তারা পণ্য নিতে না পারলে সেগুলো নিলামে ওঠে যায়। তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রে সংরক্ষিত মূল্যের ৬০ শতাংশ দর না দিলে তা আমাদের আইন মেনে তিনবার পর্যন্ত নিলামে তুলতে হয়।’

আরও পড়ুন