২৩ অক্টোবর ২০২৫

সাজেকে পর্যটক বিড়ম্বনা, রাত কাটাতে হচ্ছে ক্লাব-মসজিদ-বাসাবাড়িতে

রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক পর্যটনকেন্দ্রে (রুইলুই ভ্যালি) পর্যটকের ঢল। রিসোর্ট-কটেজ সব আগাম বুকিং হওয়াই কক্ষ না পেয়ে ক্লাবঘর, মসজিদসহ স্থানীয়দের বাড়িঘরে রাত কাটাতে বাধ্য হচ্ছেন সাত শতাধিক পর্যটক। শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে এ অবস্থা সৃষ্টি হয়।

জানা গেছে, সাজেক পর্যটনকেন্দ্রের ১১৬টি রিসোর্ট-কটেজের সবগুলো কক্ষই আগাম বুকিং হয়ে যায়। এসব কক্ষে প্রায় ৪ হাজার ২০০ পর্যটকের থাকার ব্যবস্থা আছে। কিন্তু কক্ষ অগ্রিম বুকিং না নিয়ে অন্তত হাজার খানেক পর্যটক সেখানে বেড়াতে যান। এর মধ্যে কক্ষ না পেয়ে অনেকে ফিরে গেছেন। তবে রাতে প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখার জন্য রয়ে গেছেন প্রায় সাত শতাধিক পর্যটক। রিসোর্ট-কটেজ মালিক সমিতি ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সহযোগিতায় এসব পর্যটকরা স্থানীয় বাসিন্দাদের বাড়িঘরে, প্রাথমিক বিদ্যালয়, স্টোরকক্ষ ও ক্লাবঘরে যে যেভাবে পারছেন, রাত কাটাচ্ছেন।

সাজেক রিসোর্ট-কটেজ মালিক সমিতি সূত্রে জানা গেছে, ডিসেম্বর থেকে সাজেকের রিসোর্ট-কটেজের কক্ষগুলো আগাম বুকিং দেওয়া হচ্ছে। সাপ্তাহিক ও বিশেষ ছুটির দিনগুলোতে রিসোর্ট-কটেজের সব কক্ষ অগ্রিম ভাড়া হয়ে যাচ্ছে। কক্ষ না পেয়ে রুইলুই পর্যটনকেন্দ্র থেকে অনেক পর্যটক বিভিন্ন সময় ফিরে গেছেন। শুক্রবারও সব কক্ষ অগ্রিম বুকিং হয়ে গেলেও, অনেকে অগ্রিম বুকিং না নিয়ে চলে এসেছেন। যার কারণে তারা বিরম্বনায় পড়েছেন। তবে তাদেরকে স্থানীয় বাসাবাড়ি, ক্লাবঘর, মসজিদে থাকার ব্যবস্থা করে দেওয়া হচ্ছে।

সাজেক রুইলুই পর্যটনকেন্দ্রের রিসোর্ট-কটেজ মালিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক রাহুল চাকমা জন বলেন, আজ সব রিসোর্ট-কটেজের কক্ষ আগাম বুকিং হয়ে গেছে। কক্ষ বুকিং না নিয়ে প্রায় সাত শতাধিক পর্যটক সাজেকে এসেছেন। তাঁদেরকে ক্লাবঘর, মসজিদ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের বাড়িতে থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে সমিতির পক্ষ থেকে। এই সময়ে যারা সাজেকে ঘুরতে আসতেচান তাদের প্রতি অনুরোধ থাকবে তারা যেন অগ্রিম বুকিং নিয়ে আসেন।

আরও পড়ুন