ছাত্র জনতার আন্দোলনে সরকার পতনের পর সাধারণ ছাত্রদের উপর হামলা-হত্যার অভিযোগে একেএকে গ্রেপ্তার হচ্ছে আওয়ামী যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। তবে কিছু কিছু এলাকায় এর ব্যাতিক্রম ঘটনাও লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের নিরাপত্তা দেওয়া ও পুলিশের কাছ থেকে আসামী ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনাও ঘটেছে বহুবার।
এবার ঠিক একই অভিযোগ উঠেছে চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালি থানাধিন সেচ্ছা সেবক দলের সদস্য সচিব সোনা মানিকের বিরুদ্ধেও। এছাড়াও এলাকায় চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা থেকে কমিশন নেওয়া, এলাকায় আধিপত্য দেখাতে গোলাগুলি, যুবলীগ নেতার ভাতিজা ও কোতোয়ালি থানা এলাকায় শীর্ষ ছিনতাইকারী মেহেরাজকে ছেড়ে দেওয়ার তদবির সহ নানা অভিযোগ রয়েছে সোনা মানিকের বিরুদ্ধে।
এছাড়াও নগরীর এনায়েত বাজার এলাকায় দুইপক্ষের সংঘর্ষে গোলাগুলির ঘটনায় সন্ত্রাসী আবিদ পুলিশের হাতে আটক হলেও এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়ে গেছে সোনা মানিক। জিজ্ঞাবাদের জন্যও ডাকেনি পুলিশ।
জানা যায়, সোনা মানিকের বাবা মালেক কমিশনার এক সময়ে প্রভাবশালী ওয়ার্ড কাউন্সিলর ছিলেন। তারই প্রশ্রয় ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে সোনা মানিক এলাকায় এখন ত্রাশের রাজত্ব চালাচ্ছেন।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, বাবার ক্ষমতায় মানিক এমন অনিয়ন্ত্রিত হয়ে পড়ছে। তার নিয়ন্ত্রনে এলাকায় বিস্তার পাচ্ছে মাদকের রমরমা ব্যবসা।
অন্য সব অভিযোগ অস্বীকার করে ছাত্রলীগ কর্মীদের সাথে ছবি তোলা ও এলাকায় তাদের নিরাপত্তা দেওয়ার ব্যাপারে সোনা মানিক বলেন, আমি নেতা হিসেবে আমার সাথে ছবি তুলতেই পারে, এইটা স্বাভাবিক বিষয়।
তবে সোনা মানিকের বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ উঠেছে এনায়েত বাজারে ট্রাক সমিতি থেকে চাঁদা তোলার। পাশাপাশি আরও অভিযোগ উঠেছে সিআরবি জুড়ে গোয়াল পাড়ায় ও মাদকের আখড়ার ও দেখভাল করেন তিনি।
এসকল বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, আমার নাম ভাঙিয়ে কেউ চাঁদা তুললে আমাকে জানান। আমিসহ গিয়ে তাদের ধরবো।
এ ব্যাপারে জানতে কোতোয়ালি থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকতার মুঠোফোনে বারংবার চেষ্টা করেও যোগাযোগ সম্ভব হয়নি।
তবে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের জনসংযোগ কর্মকর্তা এডিসি মাহমুদা বেগম বলেন, ছাত্র জনতার আন্দোলনে সাধারণ ছাত্রদের উপর হামলা ও হত্যা মামলায় জড়িত সকলকেই আইনের আওতায় আনা হচ্ছে। এই ব্যাপারে সে যেই হোক, কারো সুপারিশ গ্রহণ যোগ্য নয়।