২৩ অক্টোবর ২০২৫

মিরসরাইয়ে যুবদল-ছাত্রদলের ওপর হামলা, মামলা ও আটক ২

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে যুবদল ও ছাত্রদলের ১৪ নেতাকর্মীর ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় শনিবার (১ মার্চ) বিকেলে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনায় দুইজনকে আটক করা হয়েছে। এর আগে শুক্রবার রাত সাড়ে ১২টায় উপজেলার জোরারগঞ্জ ইউনিয়নের খিলমুরারী গ্রামে এ হামলার ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন, হিঙ্গুলী ইউনিয়নের কদমতলা এলাকার যুবদল কর্মী রুবেল, খিলমুরারী এলাকার পারভেজ, আজমনগর গ্রামের লিটন দাশ, হিঙ্গুলী ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক সোহেল, সাংগঠনিক সম্পাদক জামালপুর গ্রামের হৃদয়, মেহেদীনগর গ্রামের নাজিম, বারইয়ারহাট পৌরসভা এলাকার মাসুদ, ছাত্রদল কর্মী নয়ন, রাজু ও ফয়সালসহ ১৪ জন।

হামলার ঘটনায় খিলমুরারী এলাকার মৃত বাবুল হোসেনের ছেলে আরিফ হোসেন বাদী হয়ে জোরারগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ হামলার সঙ্গে জড়িত এজাহারভুক্ত ৫ নম্বর আসামি জোরারগঞ্জ ইউনিয়নের খিলমুরারী গ্রামের মো. জামালের ছেলে সাইফুল ইসলাম (৩২) এবং একই গ্রামের মৃত আমির হোসেনের ছেলে মো. সেলিম (৫০) – এই দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে। তাদের শনিবার বিকেলে আদালতে পাঠানো হয়।

মামলার বাদী আরিফ হোসেন বলেন, ‘শুক্রবার রাতে জোরারগঞ্জ ইউনিয়নের খিলমুরারী গ্রামে স্থানীয়রা রমজান মাসে মাদক ব্যবসা ও সন্ত্রাসী কার্যক্রম বন্ধে সবাইকে সোচ্চার থাকার আহ্বান জানিয়ে একটি আলোচনা সভার আয়োজন করেন। আলোচনা সভা শেষে সবাই খিলমুরারী এলাকায় নুর উদ্দিনের দোকানের সামনে বসে গল্পগুজব করার সময় স্থানীয় হকসাব ও সায়েদুল ইসলামের নেতৃত্বে ২৫-৩০ জনের একটি দল দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আমাদের ওপর হামলা চালায়। হামলায় যুবদল ও ছাত্রদলের ১৪ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। এছাড়া ৭টি মোটরসাইকেলে ভাঙচুর চালায়, ১টি মোটরসাইকেলে আগুন দেয় এবং বাড়িঘরেও ভাঙচুর করে। এতে প্রায় ৮ লাখ ১২ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে। এ ঘটনায় ২৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ১৫ জনের নামে থানায় মামলা দায়ের করেছি।’

জোরারগঞ্জ থানা যুবদলের আহ্বায়ক সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘এর আগেও খিলমুরারী এলাকায় যুবদল ও ছাত্রদল নেতাকর্মীরা সন্ত্রাসীদের অপকর্মের প্রতিবাদ করতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন। শুক্রবার রাতে পুনরায় হামলার শিকার হয়েছেন। আমি এই হামলার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। এছাড়া দোষীদের গ্রেপ্তার করে শাস্তির আওতায় আনার জোর দাবি জানাচ্ছি।’

জোরারগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাব্বির মোহাম্মদ সেলিম বলেন, ‘খিলমুরারী এলাকায় হামলার ঘটনায় আরিফ হোসেন নামে এক ব্যক্তি বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন। আমরা অভিযান চালিয়ে এজাহারভুক্ত ৫ নম্বর আসামি জোরারগঞ্জ ইউনিয়নের খিলমুরারী গ্রামের মো. জামালের ছেলে সাইফুল ইসলাম (৩২) এবং একই গ্রামের মৃত আমির হোসেনের ছেলে মো. সেলিম (৫০) – এই দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছি। তাদের শনিবার বিকেলে আদালতে পাঠানো হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’

আরও পড়ুন