২৩ অক্টোবর ২০২৫

সুঁই-সুতোর শহর খলিফাপট্টি, দর্জিদের ব্যস্ততা আর ঈদের খুশি

চট্টগ্রামের খলিফাপট্টির দর্জি পাড়া যেন এক সুঁই-সুতার গল্পের শহর। প্রতি বছর ঈদ আসলেই এই পাড়ায় শুরু হয় ব্যস্ততার সময়।সুঁই-সুতোর সুরে তৈরি হয় নতুন পোশাক, বোনা হয় খুশির রঙিন স্বপ্ন।

৫৬ বছর বয়সী মোঃ সোলাইমান মিয়া-এই পাড়ারই একজন পোশাক কারিগর। দীর্ঘ ৪০টি বছর কাটিয়েছেন এই দর্জি পাড়ায় পোশাক তৈরির কাজে। একটা সময় পায়ে চালিত সেলাই মেশিনে পোশাক তৈরি করতেন, কিন্তু সময়ের সঙ্গে বদলেছে প্রযুক্তি। এখন বৈদ্যুতিক সেলাই মেশিন তার কাজকে করেছে সহজ ও গতিময়। এতে শুধু তার জীবনযাত্রাই বদলায়নি, বেড়েছে আয়ও।

তবে খলিফাপট্টির এবারের চিত্র কিছুটা ভিন্ন। ঈদকে সামনে রেখে ব্যস্ততা থাকলেও গত কয়েক বছরের তুলনায় কাজের চাপ কিছুটা কম। এমনকি, রমজানের শেষ দশকেও কাজের গতি বাড়বে কিনা তা নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন দর্জিরা?

আজিজ নামে একজন ব্যবসায়ী বলেন, গত বছর রমজানের শুরুতে পাইকার ও খুচরা ব্যবসায়ীদের কাজের অর্ডারে আমাদের ব্যাস্ত সময় পার হতো। কিন্তু এবছর তুলনামূলক অর্ডার কম।

তবুও, দিন-রাত এক করে পোশাক তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন খলিফাপট্টির কারিগররা। এখানকার প্রতিটি অলি-গলি কেবলই কাটাকাটি, সেলাই, ডিজাইনিংয়ের ব্যস্ততা। প্রতিটি সেলাইয়ে মিশে থাকে তাদের শ্রম, সময় আর ভালোবাসা।

খলিফাপট্টি শুধু একটি জায়গার নাম নয়, এটি যেন এক শিল্পের কেন্দ্রস্থল, যেখানে রাতভর তৈরি হয় ঈদের আনন্দ।

আরও পড়ুন