২৩ অক্টোবর ২০২৫

দক্ষিণ চট্টগ্রামে অর্ধ শতাধিক গ্রামে ঈদ উদযাপন

সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে দক্ষিণ চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় অর্ধ লক্ষাধিক মানুষ ঈদুল ফিতর উদযাপন করছেন। সাতকানিয়ার মির্জাখীল দরবার শরিফের অনুসারীরা রবিবার (৩০ মার্চ) সকাল ৯টায় খানকাহ মাঠে ঈদের প্রধান জামাতে অংশ নেন।

এবারের ঈদের নামাজে ইমামতি করেন হজরত শাহ জাহাঁগীর শেখুল আরেফীন (ক.), হজরত শাহ জাহাঁগীর ফখরুল আরেফীন (ক.), হজরত শাহ জাহাঁগীর শমসুল আরেফীন (ক.)-এর পদাঙ্ক অনুসরণ করে বর্তমান সাজ্জাদানশীন হজরত শাহ জাহাঁগীর তাজুল আরেফীন (ক.)-এর তত্ত্বাবধানে তার জানশিন (উত্তরাধিকারী) হজরত ইমামুল আরেফীন মাওলানা মুহাম্মদ মকছুদুর রহমান।

মির্জাখীল দরবার সূত্র জানায়, চট্টগ্রামের সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, বাঁশখালী, পটিয়া, আনোয়ারা, বোয়ালখালী ও কর্ণফুলী উপজেলার বেশ কিছু গ্রামে এদিন ঈদ উদযাপন করা হয়। সাতকানিয়ার গারাংগিয়া, সোনাকানিয়া, ছোটহাতিয়া, আছারতলি, সাইরতলি, এওচিয়া, খাগরিয়া, ছদাহা, গাটিয়াডাঙ্গা, লোহাগাড়ার কলাউজান, বড়হাতিয়া, পুটিবিলা, চরম্বা, চুনতি, বাঁশখালীর জালিয়াপাড়া, ছনুয়া, মক্ষিরচর, চাম্বল, শেখেরখীল, ডেংরা, তৈলারদ্বীপ ও কালিপুর, পটিয়ার হাইদগাঁও, বাহুলী, ভেল্লাপাড়া এবং অন্যান্য কয়েকটি এলাকায়ও একইভাবে ঈদ উদযাপিত হয়েছে।

এছাড়া, চট্টগ্রামের হাটহাজারী, সন্দ্বীপ, ফটিকছড়ি, বান্দরবানের লামা, আলীকদম, নাইক্ষ্যংছড়ি এবং কক্সবাজারের চকরিয়া, টেকনাফ, মহেশখালী, কুতুবদিয়াসহ বেশ কয়েকটি স্থানে মির্জাখীল দরবার শরীফের অনুসারীরা ঈদ পালন করছেন।

মির্জাখীল দরবার শরীফের মেজ সাহেবজাদা মোহাম্মদ মছুদুর রহমান জানান, প্রায় আড়াইশ বছর আগে মির্জাখীল গ্রামের হযরত মাওলানা মোখলেছুর রহমান (রহ.) হানাফি মাজহাবের ফতোয়া অনুযায়ী পৃথিবীর যে কোনো দেশে চাঁদ দেখা গেলে সে অনুযায়ী রোজা ও ঈদ উদযাপনের নিয়ম প্রচলন করেন। সেই ঐতিহ্য অনুসরণ করেই সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে দরবার শরীফের অনুসারীরা ঈদুল ফিতর উদযাপন করে আসছেন।

এআরই/বাংলাধারা

আরও পড়ুন