২৩ অক্টোবর ২০২৫

সাকিব আল হাসানের বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান , হতে পারে আসামি

জাতীয় ক্রিকেট দলের অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে অনুসন্ধান চালাচ্ছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সম্ভাব্যভাবে তিনি ভবিষ্যতে দুর্নীতি মামলার আসামি হতে পারেন।

রোববার (৬ এপ্রিল) দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন বলেন, “আমাদের অনুসন্ধান চলছে। সাকিব আল হাসান সম্পর্কে দুর্নীতির অভিযোগের বিষয়ে আমরা আশঙ্কা করছি যে তিনি দুদকের মামলার আসামি হতে পারেন।”

এসময় সাংবাদিকরা সাকিব আল হাসানকে ২০১৮ সালে দুদকের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার প্রসঙ্গ তোলেন। ড. মোমেন জানিয়ে দেন, ২০১৮ সালে সাকিবকে দুদকের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর করা হয়েছিল এবং তিনি একটি তথ্যচিত্রে বিনা পারিশ্রমিকে অংশ নেন। ওই সময়, দুদকের ১০৬ কমপ্লেইন হটলাইন উদ্বোধন উপলক্ষে ওই তথ্যচিত্র তৈরি করা হয়েছিল।

তবে, সাকিব আল হাসানের বিরুদ্ধে অনিয়ম এবং দুর্নীতির অভিযোগ উঠলে ২০২২ সালে তাকে ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে দায়িত্ব থেকে বাদ দেয় দুদক।

গত বছরের ২৮ আগস্ট, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মিলহানুর রহমান নাওমী সাকিবের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তুলে দুদকে আবেদন করেন। অভিযোগগুলির মধ্যে ছিল শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারি, নিষিদ্ধ জুয়ার ব্যবসা, স্বর্ণ চোরাচালানে জড়িত থাকা, কাঁকড়া ব্যবসায়ীদের টাকা আত্মসাৎ, ক্রিকেট খেলার দুর্নীতি এবং নির্বাচনী হলফনামায় সম্পদের তথ্য গোপন করার অভিযোগ। এরপর, ৮ নভেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা বিভাগ সাকিব আল হাসানের ব্যাংক হিসাব জব্দ করার সিদ্ধান্ত জানায়।

এছাড়া, গত বছর ৫ আগস্ট, সাকিব আল হাসানকে আদাবরে পোশাক কারখানার কর্মী মো. রুবেল হত্যার ঘটনায় তার বাবা রফিকুল ইসলামের করা মামলায় আসামি করা হয়। মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং অন্যান্য ব্যক্তির সঙ্গে সাকিবকেও অভিযুক্ত করা হয়।

দুদক বর্তমানে সাকিব আল হাসানের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগের অনুসন্ধান চালাচ্ছে এবং ভবিষ্যতে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

এআরই/বাংলাধারা

আরও পড়ুন