২৪ অক্টোবর ২০২৫

সন্দ্বীপে যুক্ত হচ্ছে ভাসানচর, উত্তাল হাতিয়া

বঙ্গোপসাগরের মাঝখানে জেগে ওঠা বিচ্ছিন্ন দ্বীপ ভাসানচর নিয়ে নতুন করে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। সম্প্রতি সরকারি এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, চরটি চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলার অন্তর্গত।

২০১০ সালে দৃশ্যমান হলেও ২০১৭ সালে রোহিঙ্গা পুনর্বাসনের পরিকল্পনার পর আলোচনায় আসে ভাসানচর। সে সময় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের প্রভাব খাটিয়ে চরটি নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছিল বলে অভিযোগ তোলেন সন্দ্বীপবাসী। তবে রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে তখন বড় কোনো প্রতিবাদ দেখা যায়নি।

সরকার পতনের পর নতুন করে ছাত্র ও জনতার আন্দোলনের মুখে বিষয়টি ফের আলোচনায় আসে। এ প্রেক্ষিতে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। কমিটির প্রতিবেদনে ভাসানচরের ছয়টি মৌজাকে সন্দ্বীপ উপজেলার অংশ হিসেবে উল্লেখ করা হয়।

চট্টগ্রাম জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসারের প্রতিবেদনে বলা হয়, ভাসানচর মূলত সন্দ্বীপের দক্ষিণ-পশ্চিমে মাত্র ২ কিলোমিটার দূরে, যেখানে হাতিয়া থেকে দূরত্ব প্রায় ২০ কিলোমিটার। ১৯৫৫ সালের গেজেট অনুযায়ী চরটি সন্দ্বীপের অন্তর্গত। সিএস, আরএস ও জিআইএস ম্যাপিং বিশ্লেষণেও একই তথ্য পাওয়া গেছে।

তবে এই সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ হাতিয়াবাসী। ৭ এপ্রিল জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতা আব্দুল হান্নান মাসউদ ভাসানচরকে হাতিয়ার অংশ দাবি করে প্রতিবাদের ডাক দেন। ৯ এপ্রিল চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে হাতিয়া ছাত্র যুব পরিষদ মানববন্ধন করে। তারা অভিযোগ করে, অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা ও সন্দ্বীপের বাসিন্দা ফাউজুল কবিরের প্রভাবে ভাসানচর সন্দ্বীপে যুক্ত করার ষড়যন্ত্র হচ্ছে। তার পদত্যাগের দাবিও ওঠে।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, দিয়ারা জরিপ অনুসারে ভাসানচর হাতিয়ার চরঈশ্বর ইউনিয়নের অন্তর্গত এবং শান্তিপূর্ণভাবে থানা গঠনও সম্পন্ন হয়েছে। তারা অভিযোগ করেন, একটি চক্র এই ইস্যুকে কেন্দ্র করে এলাকায় অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করতে চাইছে।

এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হতে পারে আজ (১০ এপ্রিল) দ্বিতীয় কমিটির সভায়।

আরও পড়ুন