রাঙামাটির বাঘাইছড়িতে বিজু উৎসব শেষে চবি ক্যাম্পাসে ফেরার পথে খাগড়াছড়ির সদরের গিরিফুল এলাকা থেকে অস্ত্রের মুখে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ শিক্ষার্থীসহ অপহৃতদের খোঁজ মেলেনি ৬ দিনেও। উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করা হলেও এখনো নেই কোনো আশার আলো। আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে অপহৃত পাঁচ শিক্ষার্থীকে মুক্তি না দিলে পার্বত্য চট্টগ্রামকে পুরো দেশ থেকে বিচ্ছিন্ন করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বুদ্ধিজীবী চত্বরে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। এরপর সেখান থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ নম্বর গেট সংলগ্ন চট্টগ্রাম-রাঙামাটি সড়ক অবরোধ করেন তারা।
এ সময় সড়কের উভয়পাশে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে দুপুর ১টা ৪০ মিনিটে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই এ অবরোধ শেষ হয় শিক্ষার্থীদের।
এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবদুর রহমান বলেন, “৬ দিন হয়ে গেছে, এখনও আমার ভাই-বোনদের কোনো খোঁজ নেই। প্রশাসন যদি পদক্ষেপ না নেয়, তাহলে আমরা আরও কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হব।”
আন্দোলনে অংশ নেওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী বলেন, ‘পাঁচ শিক্ষার্থী অপহৃতের ঘটনার এক সপ্তাহ হয়ে গেলেও এখনো কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। বিপ্লবের পরে বাংলাদেশের পাহাড় কিংবা সমতলে কোথাও এ ধরনের ঘটনা মেনে নেওয়া হবে না। অপহৃতদের মুক্তির বিষয়ে সরকারকে আরও কঠোর অবস্থানে যেতে হবে। আমরা দ্রুত অক্ষত অবস্থায় তাদের মুক্তি চাই।’
এ বিষয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের (পিসিপি) সভাপতি অন্বেষ চাকমা বলেন, “আজকের যে আন্দোলন এটা সাধারণ শিক্ষার্থীরাসহ চারটি বিভাগের শিক্ষার্থীরা মিলে করেছে। আন্দোলনের সাথে আমরা সরাসরি যুক্ত না হলেও আমরা একাত্মতা প্রকাশ করছি। এ ঘটনা দ্রুত সমাধান না হলে আরও কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।”
এ ঘটনায় ইউপিডিএফের সম্পৃক্ততার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন “আমাদের সহপাঠিরা যে স্থান থেকে অপহরন হয়েছে সেখানে ইউপিডিএফ প্রসিত খীসার নেতৃত্বাধীন এলাকা। আর অপহৃত শিক্ষার্থীদের পরিবার সূত্রে আমরা জানতে পেরেছি তাদের কে যারা ফোন দিয়েছে তারাওপাহাড়ি আঞ্চলিক সংগঠন ইউনাইটেড পিপলস্ ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ)। আমরা এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ চাই।”
এদিকে প্রসিত খীসার ইউপিডিএফের অন্যতম সংগঠক অংগ্য মারমা শুরু থেকে এই ঘটনার সাথে ইউপিডিএফের কোনোরকম সংশ্লিষ্টতা নেই বলে দাবী করেছেন।
এএস/পিএন/বাংলাধারা