২৪ অক্টোবর ২০২৫

সীতাকুণ্ড-বাঁশবাড়িয়া থেকে সন্দ্বীপ-গুপ্তছড়া রুটে ফেরি চালু রাখার দাবি সন্দ্বীপবাসীর

ফেরি বন্ধের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে উত্তাল সন্দ্বীপ

সীতাকুণ্ডের বাঁশবাড়িয়া থেকে সন্দ্বীপের গুপ্তছড়া রুটে চালু হওয়া ফেরি সার্ভিস বন্ধের আশঙ্কায় ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন সন্দ্বীপবাসী। তারা ফেরি চালু রাখার দাবিতে চট্টগ্রাম ও সন্দ্বীপে মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন করেছেন।

মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) সকালে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, গত ২৪ মার্চ থেকে চালু হওয়া এই ফেরি রুট সন্দ্বীপবাসীর জন্য অনেক বড় স্বস্তির জায়গা ছিল। কারণ এটি নিরাপদ ও সরাসরি যাতায়াতের সুযোগ করে দিয়েছে। কিন্তু এখন একটি স্বার্থান্বেষী মহল ফেরি বন্ধের পাঁয়তারা করছে, যা সন্দ্বীপবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি ও স্বপ্নে আঘাত।

বক্তারা আরও বলেন, “সরকার যেহেতু এখনো প্রতিশ্রুত কোস্টাল ফেরি চালু করেনি, তাই বর্তমানে চলমান ‘কপোতাক্ষ’ ফেরি রুট থেকে সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যাবে না। বরং একই মানের আরও কয়েকটি ফেরি দ্রুত চালু করা উচিত।”

মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক সালেহ নোমান, সমাজকর্মী আমজাদ হোসেন, ইঞ্জিনিয়ার বেলায়েত হোসাইন, মোশারফ হোসেন দিদার, জাহাঙ্গীর হোসেন, শফিকুল ইসলাম, ফোরকান উদ্দীন রিজভী, আকবর ভূইয়া, মোক্তাদের আজাদ খান, ইকবাল ইবনে মালেক, সুজা-উদ-দৌলা সজিব, নুর নবী, নাসরিন আক্তার, মিলাদ মুন্না, এম আর কে তারেক, রবিন, মিলাদ হোসাইন, মাহবুবুর রহমান ও সাইফুল ইসলামসহ আরও অনেকে।

মানববন্ধন শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সালেহ নোমান বলেন, “বিআইডব্লিউটিএর দায়িত্ব ছিল ফেরি চালু রাখার ব্যবস্থা করা। অথচ তারাই এখন ফেরি বন্ধের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। তাদের সক্ষমতা না থাকলে নৌবাহিনী কিংবা বিদেশি বিশেষজ্ঞদের সহায়তা নেয়া যেতে পারে।”

তিনি আরও বলেন, “প্রতিবছর ৬-৭ মাস সাগর উত্তাল থাকে বলে যে ফেরি বন্ধ রাখা হয়, সেই পদ্ধতিরও পরিবর্তন দরকার। বর্তমান আবহাওয়া সতর্ক বার্তা পদ্ধতিকে আধুনিক ও সময়োপযোগী করতে হবে।”

সন্দ্বীপেও মানববন্ধন

ছবি- সন্দ্বীপের কমপ্লেক্সে মানববন্ধনে সন্দ্বীপবাসী

এছাড়াও একই দিনে সন্দ্বীপ উপজেলা কমপ্লেক্সে আরেকটি মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন যুবদল নেতা প্রভাষক নিঝুম খান। বক্তব্য রাখেন জামায়াত নেতা আলাউদ্দীন শিকদার, বিএনপির আলমগীর হোসাইন ঠাকুর, প্রেস ক্লাবের ডা. মোজাম্মেল হোসেন ও ওমর ফয়সাল, মাওলানা মীর ইসমাঈল, আজমত আলী বাহাদুর, মাওলানা আবু তাহের, মনির তালুকদার ও আবুল কাসেম মাস্টারসহ আরও অনেকে।

সন্দ্বীপের মানবন্ধনে বক্তরা, স্পষ্ট করে দিয়েছ ফেরি বন্ধের চেষ্টা করা হলে তারা কঠোর আন্দোলনে যাবে। এখন সরকার ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর দায়িত্ব, জনগণের এই যৌক্তিক দাবিকে সম্মান জানানো।

এইদিকে আগামীকাল থেকে ফেরি বন্ধের খবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার হলেও কর্তৃপক্ষ বলছেন তা গুজব । এখনও ফেরি বন্ধের অফিসিয়াল ঘোষণা আসেনিই।

এআরই/বাংলাধারা

আরও পড়ুন