রমজান, ঈদ ও পরবর্তী ছুটির সময় চট্টগ্রাম বন্দরের কনটেইনার ধারণক্ষমতা স্বাভাবিক রাখতে স্টোর রেন্ট চারগুণ বাড়ানো হলেও কাঙ্ক্ষিত ফল আসেনি। এখনো প্রতিদিন বন্দরের প্রায় ৭৫ শতাংশ জায়গা কনটেইনারে পূর্ণ রয়েছে।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গতকাল ২৬ এপ্রিল (শনিবার) বন্দরের অভ্যন্তরে কনটেইনারের সংখ্যা ছিল ৩৯ হাজার ৫১৪ টিইইউস। এর আগের দিনগুলোতেও প্রায় একই চিত্র দেখা গেছে ২৫ এপ্রিল ৩৮ হাজার ৩৮৯, ২৪ এপ্রিল ৩৯ হাজার ১৬৮, ২৩ এপ্রিল ৪০ হাজার ১১২, ২২ এপ্রিল ৪০ হাজার ৮৩৮, ২১ এপ্রিল ৪০ হাজার ৯৩৯ এবং ২০ এপ্রিল ৩৯ হাজার ৮৯৪ টিইইউস কনটেইনার ছিল বন্দরে।
গত এক সপ্তাহে গড়ে প্রতিদিন চট্টগ্রাম বন্দরের অভ্যন্তরে ছিল ৩৯ হাজার ৮৩৬ টিইইউস কনটেইনার। যেখানে বন্দরের মোট ধারণক্ষমতা ৫৩ হাজার ৫১৮ টিইইউস। ফলে গড়ে ৭৪ দশমিক ৪৪ শতাংশ স্থান কনটেইনারে পূর্ণ রয়েছে।
বন্দর কর্তৃপক্ষ স্টোর রেন্ট চারগুণ বাড়িয়ে দ্রুত কনটেইনার ডেলিভারি ত্বরান্বিত করতে চেয়েছিল। তবে তা বিশেষ কার্যকর হয়নি। গত এক সপ্তাহের হিসাবে, প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৪ হাজারের কিছু বেশি কনটেইনার ডেলিভারি হয়েছে, যা স্বাভাবিক সময়ের ডেলিভারির সঙ্গে প্রায় একই রকম। ২৬ এপ্রিল ৩ হাজার ২৪, ২৫ এপ্রিল ৪ হাজার ৮৪৬, ২৪ এপ্রিল ৪ হাজার ৭৪০, ২৩ এপ্রিল ৪ হাজার ৮২৫, ২২ এপ্রিল ৫ হাজার ২২২, ২১ এপ্রিল ৩ হাজার ৬৫২ এবং ২০ এপ্রিল ৩ হাজার ৩৮৯ টিইইউস কনটেইনার ডেলিভারি হয়েছে।
এদিকে, ১৩৮তম বন্দর দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন। তিনি জানান, আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে চট্টগ্রাম বন্দরের কনটেইনার পরিবহন উল্লেখযোগ্য হারে বাড়বে। সেই প্রস্তুতি নিতে মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দর, বে টার্মিনাল ও লালদিয়ায় নতুন টার্মিনাল নির্মাণের কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে।
এআরই/বাংলাধারা
