ছয় দফা দাবিতে সারাদেশে চলমান ‘শাটডাউন’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের মূল ফটকে তালা ঝুলিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ক্যাম্পাসের মূল ফটকের সামনে বিক্ষোভ ও মিছিল শুরু করেন তারা।
শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, তাদের দাবিগুলো পূরণ না হওয়া পর্যন্ত এই আন্দোলন চলবে। এক বক্তা বলেন, “এই ক্যাম্পাস আমাদের, আমরা এখান থেকে সরব না। আর কোনো আশ্বাস নয়, এবার চাই পরিষ্কার ঘোষণা। না হলে আমাদের আন্দোলন কোটাবিরোধী আন্দোলনের চেয়েও কঠোর হবে।”
বিক্ষোভের কারণে সকাল থেকেই ইনস্টিটিউটে ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ রয়েছে। তবে শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অফিসে উপস্থিত থাকলেও মূল ফটকে তালা থাকায় তারা ভেতরে অবরুদ্ধ অবস্থায় রয়েছেন।
জানা গেছে, চলতি এপ্রিল মাসের শুরু থেকে দেশের সব পলিটেকনিক শিক্ষার্থীরা তাদের ছয় দফা দাবি আদায়ে ধারাবাহিক কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন। যদিও গত ২২ এপ্রিল শিক্ষা মন্ত্রণালয় একটি কমিটি গঠনের পর আন্দোলন সাময়িক স্থগিত করা হয়েছিল, পরদিনই সেই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে ফের আন্দোলনে নামে শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের ছয় দফা দাবিগুলো:
- ক্রাফট ইনস্ট্রাকটরদের পদবি পরিবর্তন ও বিতর্কিত নিয়োগ বাতিল:
জুনিয়র ইন্সট্রাকটর পদে প্রমোশন সংক্রান্ত হাই কোর্টের রায় বাতিল, নিয়োগবিধি বাতিল ও সংশ্লিষ্টদের চাকুরিচ্যুতির দাবি। - ডিপ্লোমা কোর্স চার বছর মেয়াদি রাখা ও আধুনিক কারিকুলাম প্রণয়ন।
উপ-সহকারী প্রকৌশলী (দশম গ্রেড) পদে শুধু ডিপ্লোমা ও সার্ভেয়িং শিক্ষার্থীদের আবেদন নিশ্চিত করা এবং বেসরকারি খাতে তাদের ন্যূনতম বেতন নির্ধারণ।
কারিগরি শিক্ষা প্রশাসনে কারিগরি শিক্ষিত জনবল নিয়োগ নিশ্চিত করা।
কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের বিতর্কিত নিয়োগবিধি সংশোধন ও নতুন শিক্ষক-সহযোগী নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ।
উচ্চশিক্ষার জন্য আধুনিক বিশ্বমানের একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা ও প্রস্তাবিত চারটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে শতভাগ আসন নিশ্চিত।
চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ছাড়াও দেশের অন্যান্য পলিটেকনিকে এই কর্মসূচি পালিত হচ্ছে বলে জানিয়েছে আন্দোলনকারীরা। দাবি না মানা পর্যন্ত তারা কর্মসূচি চালিয়ে যাবে বলেও ঘোষণা দিয়েছেন।
এআরই/বাংলাধারা