চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার গোভনীয়া খাল দখলমুক্ত ও খালের ওপর নির্মিত অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন এলাকাবাসী, উপজেলা কৃষকদল ও সচেতন নাগরিক ফোরাম।
রবিবার (৪ মে) সকাল ১১টা থেকে দেড় ঘণ্টাব্যাপী উপজেলার আবুতোরাব বাজার এলাকায় এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা কৃষকদলের আহ্বায়ক মো. আশরাফ উদ্দিন এবং সঞ্চালনা করেন মঘাদিয়া ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এম হেলাল উদ্দিন। অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলমগীর।
এসময় আরও বক্তব্য দেন—খৈয়াচড়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান রফিকুজ্জামান, আবুতোরাব বাজার পরিচালনা কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক শিপন ভুঁইয়া, উপজেলা কৃষকদলের সদস্য সচিব আবু দাউদ, প্রাক্তন ছাত্রনেতা নিজাম উদ্দিন, কাইয়ুম খান, প্রফেসর কামাল উদ্দিন চৌধুরী কলেজের প্রাক্তন শিক্ষার্থী পরিষদের প্রধান সমন্বয়ক সাহেদ আহসান, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন হিতকরীর প্রতিষ্ঠাতা শহিদুল ইসলাম রয়েল, বাজার কমিটির ক্রীড়া সম্পাদক মো. মুসলিম উদ্দিন প্রমুখ।
বক্তারা অভিযোগ করেন, গোভনীয়া, মায়ানী ও মঘাদিয়া খালের খনন কার্যক্রম শুরু হলেও তা অদৃশ্য কারণে আবুতোরাব বাজার এলাকায় এসে বন্ধ হয়ে গেছে। অবৈধ দখলদাররা খালের ওপর স্থাপনা নির্মাণ করায় সেখানে ড্রেজার মেশিনও প্রবেশ করতে পারছে না। ফলে খাল ভরাট হয়ে জলাবদ্ধতা ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে।
স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন হিতকরীর প্রতিষ্ঠাতা শহিদুল ইসলাম রয়েল বলেন, “আবুতোরাব বাজার থেকে প্রতিদিন প্রচুর ময়লা খালে ফেলা হচ্ছে। খাল খনন বন্ধ থাকায় বর্ষায় আশপাশের এলাকায় জলাবদ্ধতা অনিবার্য হয়ে পড়েছে।”
আবুতোরাব কৈলাশগঞ্জ বাজার পরিচালনা কমিটির ক্রীড়া সম্পাদক মুসলিম উদ্দিন বলেন, “এই খালটি ঐতিহ্যবাহী। অবৈধ স্থাপনার কারণে ২০২৪ সালের বন্যায় বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছিল। আমাদের একটাই দাবি—অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করে খাল খনন কার্যক্রম দ্রুত সম্পন্ন করা হোক।”
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মাহফুজা জেরিন বলেন, “খাল খনন কার্যক্রম চলমান রয়েছে। অবৈধ দোকানপাট সরাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যদি তারা স্বেচ্ছায় না সরায়, তবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে উচ্ছেদ করে খাল খনন সম্পন্ন করা হবে।”
এআরই/বাংলাধারা













