২৩ অক্টোবর ২০২৫

এসএওসিএলে দুদকের অভিযান,

মেয়াদোত্তীর্ণ লাইসেন্সে গ্যাস বিক্রি, মিলল সিন্ডিকেটের প্রমাণ

স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানি লিমিটেডে (এসএওসিএল) মেয়াদোত্তীর্ণ, অস্তিত্বহীন এবং ভুয়া পরিবেশকদের মাধ্যমে নিয়মিত এলপিজি গ্যাস বিক্রির অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। কোম্পানির বিরুদ্ধে গঠিত অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটির পাশাপাশি এবার নেমেছে দুদকও।

৬ মে মঙ্গলবার সকালে চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় এসএওসিএলের প্রধান কার্যালয়ে অভিযান চালায় দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এর একটি দল। অভিযানে নেতৃত্ব দেন সহকারী পরিচালক সাইয়েদ আলম।

অভিযানে দেখা যায়, ৩৩৬ জন পরিবেশকের মধ্যে অন্তত ৫৭ জনের লাইসেন্সের মেয়াদ অনেক আগেই শেষ হয়েছে। তবুও তারা নিয়মিত গ্যাস সরবরাহ পাচ্ছে এবং বিক্রি করছে। তদন্তে আরও উঠে আসে, একজন পরিবেশকই ৮০টি প্রতিষ্ঠানের ‘অথরাইজড পার্সন’ হিসেবে কাজ করছেন, যা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে দুদক।

বিশেষভাবে আলোচিত দুটি পরিবেশক—মেসার্স ডি ভি গ্যাস ও মেসার্স সাগরিকা এজেন্সি—যাদের লাইসেন্স ২০১৯ ও ২০২৩ সালে শেষ হয়ে গেছে, তারাও নিয়মিত গ্যাস ব্যবসা চালিয়ে আসছিল।

দুদকের সহকারী পরিচালক সাইয়েদ আলম বলেন, “এসএওসিএল, পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা—এই চারটি কোম্পানি গ্যাস সরবরাহ করে। কিন্তু দেখা গেছে, ডিলারশিপের লাইসেন্স ছাড়াই গ্যাস সরবরাহ ও বিক্রি চলছে। সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছে, যার ফলে বাজারে অতিরিক্ত দামে গ্যাস কিনতে হচ্ছে ভোক্তাদের।”

তিনি আরও জানান, এসব অনিয়মে এসএওসিএলের সাবেক সেলস বিভাগের কর্মকর্তা ও বিশেষ করে সহকারী ব্যবস্থাপক (বিক্রয়) আবদুল সালাম মীরের নাম উঠে এসেছে। কোম্পানির বর্তমান সিইও পদক্ষেপ গ্রহণ করলেও পূর্বের দায়িত্বপ্রাপ্তরা সহযোগিতা না করায় প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয়েছে।

দুদক এই অনিয়মের রেকর্ডপত্র যাচাই করে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রস্তুত করবে বলে জানায়।

এআরই/বাংলাধারা

আরও পড়ুন