২৩ অক্টোবর ২০২৫

আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং এর অঙ্গ, সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনগুলোর সকল কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে সরকার। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারপ্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে বলে জানানো হয়েছে।

সোমবার (১২ মে) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে এ ঘোষণা দেওয়া হয়। প্রজ্ঞাপনটিতে স্বাক্ষর করেন জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও তাদের সহযোগী সংগঠনসমূহের নেতাকর্মীরা দেশের বিভিন্ন স্থানে বিরোধী মতাবলম্বী ও সাধারণ জনগণের বিরুদ্ধে হামলা, গুম, খুন, নির্যাতন, ধর্ষণসহ মানবাধিকার লঙ্ঘন ও সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এসব অভিযোগ দেশি-বিদেশি প্রতিবেদনে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়।

বিশেষ করে ২০২৩ সালের ১৫ জুলাই থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনকল্পে সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে গণহত্যা, অগ্নিসংযোগ, বেআইনি আটক, মানবতাবিরোধী অপরাধসহ নানা অভিযোগে মামলা দায়ের হয়েছে এবং অনেকগুলো মামলা বর্তমানে বিচারাধীন রয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, এসব মামলা প্রভাবিত করতে এবং বিচার প্রক্রিয়া ব্যাহত করার উদ্দেশ্যে আওয়ামী লীগ এবং এর অঙ্গসংগঠনসমূহ সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন উসকানিমূলক কর্মসূচি, রাষ্ট্রবিরোধী লিফলেট বিতরণ, বিদেশ থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভ্রান্তিকর প্রচার চালানো, ও আইন-শৃঙ্খলা বিরোধী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করেছে। এসব কর্মকাণ্ড রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা, জননিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকিস্বরূপ বলে সরকার মনে করছে।

সরকারের দাবি, সংগঠনগুলো ‘সন্ত্রাস বিরোধী আইন, ২০০৯’ এবং ‘সন্ত্রাস বিরোধী (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এর আওতায় নিষিদ্ধযোগ্য কার্যক্রমে যুক্ত, যার ভিত্তিতে আইনের ধারা ১৮(১) অনুযায়ী তাদের সকল কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগ ও সংশ্লিষ্ট সংগঠনসমূহ কোনো ধরনের প্রচারণা, সভা-সমাবেশ, মিছিল, অনলাইন ও অফলাইনে প্রচার কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবে না। এই আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে বলেও জানানো হয়েছে।

এআরই/বাংলাধারা

আরও পড়ুন