২৩ অক্টোবর ২০২৫

চবিতে একযুগ পর শিবিরের প্রকাশ্যে মিছিল,৭ দফা দাবি উত্থাপন

দীর্ঘ একযুগ পর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রকাশ্য ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির চবি শাখা। সোমবার (১৯ মে) দুপুর সাড়ে ১২টায় সংগঠনটি চাকসু ভবনের সামনে থেকে বিক্ষোভ শুরু করে প্রশাসনিক ভবন শহিদ মিনার অতিক্রম করে জিরো পয়েন্টে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে কর্মসূচি শেষ করে।

শিবিরের দাবি অনুযায়ী, এই কর্মসূচিতে দুই হাজারেরও বেশি নেতাকর্মী অংশ নেয়। বিক্ষোভে তারা “চাকসু চাই”, “শতভাগ আবাসন চাই”, “সেশনজটের কবর দে”, “শিবিরের কয় দফা—সাত দফা সাত দফা”সহ বিভিন্ন স্লোগানে ক্যাম্পাস প্রকম্পিত করে তোলে।

সমাবেশে সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী বলেন, “ড. ইউনুস সমাবর্তনে এলেও প্রশাসন শিক্ষার্থীদের জন্য কিছু আদায় করতে পারেনি। আমাদের শতভাগ আবাসনের দাবি অবিলম্বে মানতে হবে। সেশনজটের করাল গ্রাসে অনেক শিক্ষার্থী ঝরে পড়ছে, তাদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তায় পড়ে যাচ্ছে। প্রশাসনের দায়িত্বহীনতা আর সহ্য করা হবে না।”

তিনি অভিযোগ করেন, “ফ্যাসিবাদী শাসনের সহযোগীরা এখনো বিশ্ববিদ্যালয়ে সক্রিয়। তারাই মুজাহিদ, মাসুদ, মামুন ও জোবায়েরকে হত্যা করেছে। অথচ তারা আজও বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করছে। তাদের বিচার ও অপসারণ ছাড়া ক্যাম্পাসে স্থায়ী শান্তি ফিরবে না।”

চবি শাখা সভাপতি মুহাম্মদ ইব্রাহিম বলেন, “এই সাত দফা কেবল শিবিরের নয়, বরং প্রতিটি চবিয়ান শিক্ষার্থীর প্রাণের দাবি। প্রশাসন দায়িত্ব পালন না করলে আন্দোলন আরও তীব্র হবে।”

দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে—শতভাগ আবাসনের নিশ্চয়তা এবং তা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের আবাসন ভাতা প্রদান, সেশনজট নিরসন ও শিক্ষার আধুনিকায়ন, পর্যাপ্ত ও নিরাপদ পরিবহন সুবিধা, অবিলম্বে চাকসু নির্বাচন, দ্রুত টিএসসি, সেন্ট্রাল অডিটোরিয়াম ও কেন্দ্রীয় মসজিদ নির্মাণ এবং অন্যান্য অবকাঠামোগত উন্নয়ন, ফ্যাসিবাদী শাসনামলে শিক্ষার্থীদের নির্যাতনে জড়িতদের স্থায়ী বহিষ্কার ও সংশ্লিষ্ট শিক্ষক-কর্মচারীদের চাকরিচ্যুতি, এবং অবৈধ নিয়োগে সংশ্লিষ্টদের বিচার ও অপসারণ।

সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগরী দক্ষিণের সভাপতি মুহাম্মদ ইব্রাহিম রনি এবং শাখা শিবিরের সাংগঠনিক সম্পাদক খলীল আনোয়ার।

এআরই/পিএন/বাংলাধারা

আরও পড়ুন