চট্টগ্রাম নগরের হালিশহরে কিশোর গ্যাংয়ের ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত কলেজছাত্র ওয়াহিদুল হক সাব্বির (১৮) ছয় দিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে শেষ পর্যন্ত না ফেরার দেশে চলে গেছেন। বুধবার (২১ মে) বিকেল ৫টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
নিহত সাব্বির নগরীর আইডিয়াল টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের এইচএসসি প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।
সাব্বিরের মামা মো. শফিকুল জানান, গত ১৬ মে (শুক্রবার) দুপুরে জুমার নামাজের পর ‘চা খাওয়ার’ কথা বলে আবিদ নামে এক তরুণ সাব্বিরকে হালিশহরের নতুন বাজার বিশ্বরোড এলাকায় ডেকে নেয়। সেখানে সাব্বিরকে প্রথমে লোহার রড দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয়, পরে ছুরিকাঘাত করে ফেলে রেখে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
হালিশহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান বলেন, এলাকার কিশোর-তরুণদের মধ্যে পূর্ব বিরোধ ছিল। সবাই বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী। এলাকাভিত্তিক গ্রুপিং এবং আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এই সহিংসতা ঘটে।
ডবলমুরিং জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার কাজী মো. বিধান আবিদ জানান, কিশোর গ্যাংয়ের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব থেকেই এই ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটে। ঘটনার পরপরই পুলিশ তদন্ত করে একজন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে। সে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যদের শনাক্ত করে আটকের চেষ্টা চলছে। নিহত সাব্বিরের পরিবার বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে।