চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থা (সিজেকেএস)-এর সাবেক ও বর্তমান দায়িত্বপ্রাপ্তদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এই অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে সংস্থার বর্তমান অ্যাডহক কমিটির কাছে ১৪টি বিষয়ে আগামী ১০ কার্যদিবসের মধ্যে লিখিত তথ্য জমা দিতে বলা হয়েছে।
দুদকের চট্টগ্রাম-২ সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মুসাব্বির আহমেদকে এ অনুসন্ধানের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তিনি ইতোমধ্যে সিজেকেএস কার্যালয় পরিদর্শন করেছেন এবং সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র সংগ্রহ শুরু করেছেন।
১৫ মে তারিখে সই করা চিঠিতে সিজেকেএস সভাপতি ও জেলা প্রশাসক এবং সদস্য সচিব ও জেলা ক্রীড়া কর্মকর্তাকে তথ্য চেয়ে চিঠি পাঠানো হয়।
যেসব বিষয়ে তথ্য চেয়েছে দুদক:
সিজেকেএস’র গঠনতন্ত্রের সত্যায়িত ফটোকপি
২০১৯-২০ থেকে ২০২৩-২৪ অর্থবছর পর্যন্ত ব্যাংক হিসাবের তালিকা
বাজেট ও সম্পূরক বাজেট, আয়-ব্যয়ের হিসাব
ভবন সংস্কার ও উন্নয়ন কাজে ব্যয় সংক্রান্ত তথ্য (ড্রেসিং রুম, অফিস কক্ষ, টাইলস ইত্যাদি)
আউটার স্টেডিয়াম, টেনিস কোর্ট ও ডরমেটরি নির্মাণে ব্যয় ও অনুমোদন সংক্রান্ত কাগজপত্র
জিমনেসিয়াম ভাড়া সংক্রান্ত চুক্তি, বকেয়া ও নবায়ন সংক্রান্ত তথ্য
লিটল লবস্টার রেস্টুরেন্টের সঙ্গে চুক্তি থাকলে তার কপি
প্রধানমন্ত্রীর চট্টগ্রাম সফর ও শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ফুটবল প্রতিযোগিতায় ব্যয় ও অনুমোদনের রেকর্ড
স্টেডিয়াম শপিং কমপ্লেক্সের দোকান বরাদ্দ চুক্তিপত্র ও আর্থিক লেনদেন
নির্বাহী সদস্য দিদারুল আলমের বরাদ্দকৃত দোকান সংক্রান্ত রেকর্ড
গত ৫ বছরে প্রশিক্ষণ মাঠ ভাড়ার হিসাব ও অনুমোদন সংক্রান্ত তথ্য
সিজেকেএস অ্যাডহক কমিটির সদস্য সচিব ও জেলা ক্রীড়া অফিসার আবদুল বারী বলেন, “আমাকে বিষয়টি জানিয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে। আমি এটি যথাযথ কর্তৃপক্ষের (সভাপতি ও জেলা প্রশাসক) কাছে পাঠিয়ে দিয়েছি। নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা পদক্ষেপ নেব।”
দুদক কর্মকর্তা মুসাব্বির আহমেদ বলেন, “বিষয়টি এখনো তদন্তাধীন, তাই বিস্তারিত বলা যাচ্ছে না। তবে প্রাথমিক অনুসন্ধানে আমরা প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করছি।”
এই তদন্তকে ঘিরে চট্টগ্রামের ক্রীড়া অঙ্গনে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে। সংশ্লিষ্ট মহল মনে করছে, অনুসন্ধানে প্রকৃত তথ্য বেরিয়ে এলে জেলা ক্রীড়াঙ্গনে স্বচ্ছতা ফেরানোর সুযোগ সৃষ্টি হতে পারে।