২৩ অক্টোবর ২০২৫

সকালে কমার্স কলেজে শিবির ছাত্রদল সংঘর্ষ সন্ধ্যায় সংবাদ সম্মেলন

চট্টগ্রাম কমার্স কলেজে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার চলাকালীন সময়ে সংঘর্ষে জড়িয়েছেন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীরা। এতে অন্তত ৪ জন আহত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে এর মধ্যে পরিচয় মিলেছে তিন জনের। এসময় শিবিরের হেল্প ডেস্কে থাকা কয়েকজন শিক্ষার্থীর মোবাইল ও ব্যাগ খোয়া যাওয়ার অভিযোগ তুললেও পরে শিবিরের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে সংঘর্ষের কারণে কয়েকজনের ব্যাগ ও মোবাইল তাৎক্ষনিক হস্তান্তর করা না গেলেও পরে তাদের সবার কাছে তাদের ব্যাগ ও মোবাইল হস্তান্তর করা হয়েছে।

এসকল বিষয়ে একটি সংবাদ সম্মেলন ও করে ছাত্র শিবির। লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ছাত্রশিবির চট্টগ্রাম মহানগর দক্ষিণ সভাপতি ইব্রাহীম হোসেন রনি। সেখানে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সহ অপরাধীদের বিচার নিশ্চিতের দাবি জানান তারা।

শনিবার (৩১ মে) সকালে কলেজ ক্যাম্পাসের সামনের সড়কে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে তিনজনের পরিচয় জানা গেছে। তারা হলেন, শিবিরের মহানগর দক্ষিণ কলেজ শাখার সম্পাদক মোজাহেরুল ইসলাম, কামরুজ্জামান জীবন ও আব্দুল হাদী রাহি।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে কলেজের সামনে একটি হেল্প ডেস্ক স্থাপন করে ছাত্রশিবির। সেখানে আগত শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের বসে বিশ্রাম নেওয়া, পানি পান ও তথ্য জানার ব্যবস্থা ছিল।পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে হলের শিক্ষার্থীদের সহযোগিতায় কলেজের সামনে অবস্থান নেয় ছাত্রদলও। এক পর্যায়ে সেখানে দুই পক্ষের মধ্য হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। সেখান থেকে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়াতে রূপ নেয়।এসময় পরীক্ষা শেষে বের হয়ে অনেক শিক্ষার্থীকে হেল্প ডেস্কে রাখা তাদের ব্যাগ ও মোবাইল নিয়ে চিন্তিত হতে দেখা যায়।

চট্টগ্রাম কমার্স কলেজ ছাত্র শিবিরের সভাপতি সাদমান ফাহিম বলেন, ‘পরীক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের জন্য আমরা একটা হেল্প ডেস্ক করি। কাল রাতে এটা করার সময় ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা বাঁধা দেয়। রাতে আর আমরা ওটা করিনি। সকালে ৯ টা থেকে আমরা সেখানে ডেকারেশন দিয়ে ডেস্ক করি। অভিভাবকদের বসার ব্যবস্থা করি। এক পর্যায়ে ছাত্রদলও সেখানে আসে। তারা আমাদের উদ্দেশ্যে নানা উসকানি দিতে থাক। এক পর্যায়ে আমাদের কয়েকজনের উপর হামলা করে।’ শিক্ষার্থীদের মোবাইল ও ব্যাগ খোয়া যাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আড়াইশোর মতো শিক্ষার্থী তাদের জিনিষপত্র জমা রাখে। পরীক্ষার শেষ হওয়ার সময় এসব ঝামেলায় কয়েকজনকে ওই সময় তাদের জিনিষ আমরা ফেরত দিতে পারিনি। পরে ব্যক্তিগতভাবে যোগাযোগ করে সবার জিনিষ তাদের কাছে ফেরত দেওয়া হয়েছে। এসব প্রমান আমরা সংরক্ষণ করেছি।’

তবে চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাইফুল আলম বলেন, আগে-পরে দাঁড়ানো নিয়ে সামান্য কথা-কাটাকাটি হয়েছে। পরে দুই সংগঠনের কর্মীরাই একসঙ্গে কাজ করেছে। হামলার অভিযোগ সঠিক নয়।

ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী মো. বিধান আবিদ বলেন, হালকা ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ উপস্থিত থাকায় বড় কোনো সংঘর্ষে রূপ নেয়নি। পরিস্থিতি এখন শান্ত। কারও মোবাইল বা ব্যাগ হারানোর কোন অভিযোগ পাইনি।

এএস/বাংলাধারা

আরও পড়ুন