বান্দরবানে কয়েকদিনের টানা বর্ষণে পাহাড় ধস ও বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। সাঙ্গু ও মাতামুহুরী নদীর পানি বেড়ে প্লাবিত হয়েছে নিম্নাঞ্চল, সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা। ফলে পাহাড়ি এলাকাগুলোতে আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন সাধারণ মানুষ।
ঝোড়ো বাতাস ও বৃষ্টির কারণে প্রাণহানিও ঘটেছে। আলীকদম উপজেলার কুরুকপাতায় গাছ উপড়ে পড়ে মেনরত ম্রো (১) এবং নাইক্ষ্যংছড়ির দক্ষিণ বিছামারায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে নূর ফয়েজ (১) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।
টানা বৃষ্টির কারণে পাহাড় ও সড়ক ধসে বন্ধ হয়ে গেছে লামা-সুয়ালক সড়কে যান চলাচল। মাটির ধ্বংসাবশেষের কারণে রুমা ও থানচি সড়কেও যোগাযোগ বিঘ্নিত হচ্ছে।
এদিকে ঈদুল আজহা ঘনিয়ে এলেও বৃষ্টির কারণে পশুর হাট বসছে না, ফলে খামারি ও ক্রেতা-বিক্রেতারা পড়েছেন চরম বিপাকে। বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে বহু এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন, দেখা দিয়েছে নেটওয়ার্ক সমস্যাও।
জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দুর্যোগ মোকাবিলায় সাত উপজেলায় ২২০টি অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত কেউ আশ্রয় নেয়নি।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে ২৯ মে থেকে ভারী বর্ষণ শুরু হয়েছে। ১ জুন বিকেল ৩টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৮৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক শামীম আরা রিনি বলেন, জরুরি খাদ্য, ওষুধ ও চিকিৎসাসেবার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও কন্ট্রোল রুম প্রস্তুত রয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় মাইকিং করে লোকজনকে নিরাপদে সরে যাওয়ার আহ্বান জানানো হচ্ছে।
এআরই/বাংলাধারা