চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলার মগধরা ইউনিয়নের নোয়াহাট এলাকায় শিপন কোম্পানি (৪০) নামের এক প্রবাসীকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। মঙ্গলবার (৩ জুন) বিকেল ৫টার দিকে এই মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ড ঘটে। এই নিয়ে গত ৯মাসে ৪টি হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে।
নিহত শিপন তিন সন্তানের জনক এবং স্থানীয় তহসিলদার বাড়ির বাসিন্দা।
ঘটনার পরপরই সন্দ্বীপ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে এবং ঘটনাস্থল থেকে গুরুত্বপূর্ণ আলামত সংগ্রহ করে।
সন্দ্বীপ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ.কে.এম সফিকুল আলম চৌধুরী জানান, হত্যাকাণ্ডের পেছনে রাজনৈতিক বিরোধ, পূর্বশত্রুতা নাকি অন্য কোনো কারণ রয়েছে—তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তিনি বলেন, “তদন্ত চলছে, অভিযুক্তদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তারে অভিযান পরিচালিত হচ্ছে।”
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়দের বরাতে জানা যায়, বিকেলে শিপন স্থানীয় বাজারের পাশে বসে ছিলেন। হঠাৎ কয়েকজন অস্ত্রধারী যুবক এসে তাকে জোরপূর্বক ধরে নিয়ে যায়। এরপর রাস্তায় প্রকাশ্যে তাকে ছুরি দিয়ে দুই হাত কনুই থেকে বিচ্ছিন্ন করে এবং ঘাড়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে পালিয়ে যায় হামলাকারীরা।
নিহতের পরিবার থেকে এখনো পর্যন্ত কোনো লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়নি। তবে স্থানীয়দের দাবি, এটি পূর্বশত্রুতার জের ধরে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড হতে পারে।
এ ঘটনায় এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, এর আগে ২০মে সন্দ্বীপে রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের বলি হয়ে খুন হয়েছিল রিফাত নামে এক স্কুল শিক্ষার্থী।
এরআই/বাংলাধারা













