চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) কেন্দ্রীয় মসজিদের বিপরীতে অবস্থিত ‘খায়ের ম্যানশন’ নামে একটি ছাত্রী মেসে চুরির ঘটনা ঘটেছে। এতে চারজন ছাত্রী প্রায় আড়াই লাখ টাকার মালামাল হারিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। চুরি হওয়া জিনিসের মধ্যে রয়েছে নগদ টাকা, মোবাইল ফোন, পোশাক, প্রসাধনী ও একাডেমিক সার্টিফিকেট।
ভুক্তভোগী ছাত্রীদের অভিযোগ, বাড়িওয়ালীর অবহেলা ও নিরাপত্তার ঘাটতির কারণেই এই চুরির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় সোমবার (২ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন তারা।
চুরি ঘটে রবিবার (১ জুন) সন্ধ্যা ৭টা থেকে ৯টার মধ্যে। ঘটনার সময় বেশিরভাগ ছাত্রীই ঈদের ছুটিতে নিজ নিজ বাড়িতে ছিলেন। চুরির পর চোর দরজায় তালা লাগিয়ে রেখে যায়।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, একতলা বিশিষ্ট ওই ভবনে চারটি নিচতলার রুম এবং চিলেকোঠায় একটি রুম রয়েছে। চুরির শিকার হয়েছেন দুইটি নিচতলার রুম ও চিলেকোঠার রুমে থাকা চার ছাত্রী। অন্য রুমগুলোর কিছুই চুরি হয়নি।
হিসাববিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী রাইসা জহির বলেন, “আমার এবং রুমমেটের প্রায় লক্ষাধিক টাকার মালামাল চুরি হয়েছে। অথচ বাসায় কোনো সিকিউরিটি গার্ড বা সিসিটিভি নেই। এর আগেও চুরি হয়েছিল, তখনও বাড়িওয়ালী কোনো পদক্ষেপ নেননি। বরং আমাদের বাড়ি ছাড়তে বলেন।”
বাড়িওয়ালী মাহমুদা বেগম রিনা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, “চুরি কমাতে জানালায় অতিরিক্ত গ্রিল লাগানো হয়েছে এবং সিসিটিভি বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে।” তবে তিনি শিক্ষার্থীদের উদাসীনতাকেই দায়ী করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফ বলেন, “বাড়িওয়ালী ও তার পরিবারের সদস্যরা বাসায় নিয়মিত যাতায়াত করেন। চুরি হওয়া মালামাল শুধু ছাত্রীদের। বাড়িওয়ালার কোনো মালামাল চুরি হয়নি। এমনকি চোর দরজায় তালা লাগিয়ে রেখে গেছে, যা ঘটনাটিকে সন্দেহজনক করে তোলে। আমরা মনে করি, চোর পরিচিত কেউ হতে পারে।”
তিনি আরও বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ঘটনার তদন্ত করছে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বাড়িওয়ালার সহযোগিতা প্রত্যাশা করছে।”
এআরই/বাংলাধারা