পবিত্র ঈদ-উল আজহা উপলক্ষে লক্ষ্মীপুরে ব্যস্ত ও গুরুত্বপূর্ণ সড়কের দুপাশ বন্ধ করে ইজারাদাররা বসিয়েছে কোরবানীর গরু-ছাগল হাট। এরমধ্যে জকসিন, ভবানীগঞ্জ, হাজিরহাট, আলেকজান্ডারসহ প্রায় বাজারের প্রধান সড়কের দুপাশে গরু দাঁড় করিয়ে চলছে বেচাকেনা। যা দেখে কারোর মনে হবেনা সড়ক বরং মনে হবে গরুর হাট। এছাড়া যানবাহন চলাচলে যেমন ভোগান্তি বাড়ছে তেমনি দুর্ভোগ বাড়ছে স্থানীয়দেরও। গরু-ছাগলের হাট হওয়ার কারনে প্রতিনিয়ত সৃষ্টি হচ্ছে যানজট আর ভোগান্তি।
গরু-ছাগল কিনতে আশা ক্রেতা-বিক্রেতা দু’পক্ষ থেকে নেওয়া হচ্ছে হাসিল। আর এই নিয়মকে পুরোনো নিয়ম বলছেন বিক্রেতারা। যানবাহনের চালক থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের এমন দুর্বিষহ অবস্থার কেন অবসান হচ্ছে না সেটি জানেন না কেউ। এতে গরু কিনতে আসা ক্রেতা- বিক্রেতা, পথচারী ও যান চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সবাইকে। অবৈধভাবে সড়কে চলমান এ গরু-ছাগলের বাজার কারনে কর্তৃপক্ষের কোনো হস্তক্ষেপ না থাকায় সড়কে গরুর বাজার দিন দিন বাড়ছে।
স্থানীয় ব্যবসায়িরা জানান, হাটবারে বেচাবিক্রি একটু ভালো হয় আমাদের এমন অবস্থায় দোকান খোলা নিয়ে বিপাকে পড়েন তারা। হাট শেষে অপরিচ্ছন্ন, নোংরা বর্জ্যের গন্ধে অসুস্থ হয়ে পড়তে হয়। জনদুর্ভোগের কথা চিন্তা করে ভবিষ্যতে এমন পরিস্থিতিতে যেনো পড়তে না হয় সে ব্যবস্থা নেওয়া জন্য প্রশাসনের দৃষ্টি কামনা করেন।
লক্ষীপুর জেলা প্রশাসক রাজীব কুমার সরকার বলেন, বিষয়টি দুঃখজনক। রাস্তা বন্ধ করে হাট বসার ইজারা দেওয়া হয়নি। খোলা জায়গায় বাজার দেওয়া হয়েছে। এবিষয় খোঁজ খবর নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।













