২৩ অক্টোবর ২০২৫

দেশে ফিরবেন তারেক রহমান, বিএনপির শিবিরে উচ্ছ্বাস

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আগামী ৫ আগস্টের আগেই দেশে ফিরতে পারেন বলে ইঙ্গিত দিয়েছে দলটির বিশ্বস্ত সূত্র। তাকে স্বাগত জানাতে রাজধানী ঢাকায় ১০ লাখের বেশি নেতাকর্মীর সমাগম হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

শুক্রবার (বাংলাদেশ সময় বিকাল ৩টা ৪৫ মিনিটে) লন্ডনের পার্ক লেনের একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, “তারেক রহমানের দেশে ফিরতে কোনো আইনি বাধা নেই। তিনি যেকোনো সময় সিদ্ধান্ত নিয়ে দেশে ফিরতে পারেন।”

তিনি আরও জানান, নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক অত্যন্ত ফলপ্রসূ হয়েছে। এই বৈঠককে কেন্দ্র করেই তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তনের জোরালো সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।

বিশ্বস্ত সূত্র জানায়, নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার আগেই, কিংবা ঘোষণা পরবর্তী উত্তাল রাজনৈতিক সময়ে তারেক রহমান দেশে ফিরবেন। তার এ আগমনকে ঘিরে রাজধানী ঢাকায় সৃষ্টি হতে পারে গণজোয়ার। হাজার হাজার নেতাকর্মী ঢাকায় জড়ো হয়ে তাকে বরণ করে নেবেন বলে জানাচ্ছে বিএনপি।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, লন্ডন বৈঠক বর্তমান রাজনৈতিক অচলাবস্থার মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে। তারা বলছেন, এই বৈঠকের মাধ্যমে একদিকে যেমন বিরোধী শিবিরে স্বস্তির বাতাস বইছে, অন্যদিকে বিপাকে পড়েছে তথাকথিত ষড়যন্ত্রকারীরা।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনের শপথ গ্রহণ ইস্যু, নির্বাচনকালীন সরকারের রূপরেখা ও সময় নির্ধারণ নিয়েও সরকার ও বিএনপির মধ্যে যে দূরত্ব ছিল, তা অনেকটাই কমে এসেছে বলে মত রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের।

এদিকে বৈঠকের পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তারেক রহমানের কূটনৈতিক দক্ষতা ও রাজনৈতিক প্রজ্ঞার প্রশংসা করছে বিএনপি ঘরানার নেতাকর্মীরা। নানা ইতিবাচক বার্তা ও স্ট্যাটাসে ভরে গেছে ফেসবুক-টুইটার।

এবারের জাতীয় নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। হাতে আছে মাত্র সাত মাস। তবে এখন থেকেই শুরু হয়ে গেছে রাজনৈতিক মাঠ গরম হওয়ার প্রক্রিয়া। সম্ভাব্য প্রার্থীরা প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন, দলগুলোর মধ্যে আসন ভাগাভাগি ও জোট গঠনের আলোচনা চলছে জোরেশোরে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তন শুধু বিএনপি নয়, সামগ্রিক রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটেও একটি বড় মোড় পরিবর্তন আনবে।

এআরই/বাংলাধারা

আরও পড়ুন