২৩ অক্টোবর ২০২৫

এ কে সরকার শাওনের দু’টি কবিতা

সন্ধ্যার শতরূপ

আজকের সন্ধ্যা, সন্ধ্যাটা মন্দা
বাড়ীটা নিথর নিশ্চুপ।
বসে এক কোণে ভাবি ক্ষণে ক্ষণে
একই সন্ধ্যার কত রূপ!

গতকাল সন্ধ্যায় পাশে দু’জনায়
রিমঝিম সুরের মূর্ছনায় ;
আজ নাজ দূরে আমি অনাদরে
বিদগ্ধ কফির ধোঁয়ায়!

আরো আগে এক সন্ধ্যারাগে
আলোকিত বাগে,
হৈচৈ আড্ডায় কী আনন্দ হায়
পুনর্মিলনের ফাগে!

শীতের প্রদোষে অশ্রুতে ভেসে
ছোট্টমনি দেশান্তরী !
শিক্ষার লাগি সে বিবাগী
বিদায়ের লগ্নটা ভারী!

কোন সন্ধ্যায় চোখ ধাঁধায়
কোন সন্ধ্যা কালো।
কোন সন্ধ্যা একেবারে বন্ধ্যা
নিভে মনের আলো।

সন্ধ্যা আসে সন্ধ্যা যায়
আমি ঠায় বসে!
একাকীত্বের গান অনন্ত অফুরান
মহাকাল চলে হেসে!

আগুনমুখো সন্ধ্যায়

গিন্নী গিয়েছে মুন্নী’র বাড়ী
একেলা নগন্য নেহাতি ;
বড় আলস্য শুয়ে বসে
সময় কাটাচ্ছি দেহাতি।

সন্ধ্যা বেলা আলো-ছায়ার খেলা
বাড়ীতে ভুতুড়ে নীরবতা!
বাগে পায়চারী খুঁজি সহচরী
যদি জুটে মনোমিতা!

সন্ধ্যা মালতী ছড়াচ্ছে দ্যুতি
তাঁকে করি মিনতি:
চলো জলসায় কফি’র আড্ডায়
সন্ধ্যাটা পাক জ্যোতি!

ওহে কবি, অস্তাচলে রবি
সময় নেই বেরোবার।
এখন সময় শুধু নৈবেদ্যের
শত ফুল ফোটাবার!

অনুরোধ করি হাস্নাহেনাকে
এসো চায়ের আসরে!
দু’জনে বেশ আড্ডা জম্পেশ
ভাসবো সুখের সায়রে!

সন্ধ্যা নেমেছে রাত পড়েছে
ঘ্রাণ ছড়ানোর সময়।
মোক্ষম লগ্ন কাজে নিমগ্ন
আমরা অনন্যোপায়!

অদূরে জোনাকী জ্বলে ধিকিধিকি
হাতে তুলি যতনে!
সন্ধ্যা লগনে আছি অযতনে
চলো আমার সনে!

কি জগলু? খ্যাপা পাগলু!
জ্বলছো বিরহের অনলে?
আমায় দেখো দেখে শেখো
সুখেই থাকবে শিখলে!

দিয়ে ঝাঁকি উড়লো জোনাকী
বুকে নিয়ে আগুন।
জগলু’র মুখ চুন ভেবে হয় খুন
মনে পেলো সাকুন।

আরও পড়ুন