২৪ অক্টোবর ২০২৫

বিস্ফোরক মামলায় চিন্ময় কৃষ্ণকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ

আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ (ইসকন) থেকে বহিষ্কৃত এবং সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে দায়ের করা একটি মামলায় একদিনের জন্য জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তদন্ত কর্মকর্তাকে আগামী ২২ জুনের মধ্যে মামলার প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (১৬ জুন) সাড়ে ১১টার দিকে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে শুনানি শেষে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ৬ষ্ঠ আদালত এই আদেশ দেন। চট্টগ্রাম আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর মো. রায়হানুল ওয়াজেদ চৌধুরী এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

গত বছরের ২৬ নভেম্বর ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে যাওয়ার সময় হযরত শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে বাংলাদেশ পুলিশের বিশেষায়িত গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সদস্যরা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেপ্তার করে। পরদিন কোতোয়ালি থানায় দায়ের হওয়া রাষ্ট্রদোহ মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে হাজির করা হয় চিন্ময় কৃষ্ণকে।

আদালত জামিন না মঞ্জুর করে তাকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন। এটি নিয়ে বিক্ষোভ করেন ইসকন অনুসারীরা। এসময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন বিক্ষোভকারীরা। ওইদিন দুপুরের পর বিক্ষোভকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে আদালত এলাকায় মসজিদ, দোকানসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে হামলা চালায়।

একপর্যায়ে ওইদিন বিকেলে আদালতের প্রধান ফটকের বিপরীতে রঙ্গম কনভেনশন হলের গলিতে একদল ইসকন অনুসারীর হাতে খুন হন অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম।

এ ঘটনায় গত বছরের ২৯ নভেম্বর দিবাগত রাতে নগরের কোতোয়ালি থানায় ভুক্তভোগী আইনজীবী সাইফুলের বাবা জামাল উদ্দিন বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেন। এতে এজাহারে ৩১ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। এটির পাশাপাশি একই ঘটনায় পুলিশসহ ভুক্তভোগীরা বাদী হয়ে আরও চারটি মামলা করে কোতোয়ালি থানায়।

এই পাঁচটি মামলায় তদন্ত করতে গিয়ে চিন্ময় দাসের সম্পৃক্ততা পায় পুলিশ। এরপর তদন্ত কর্মকর্তাদের পৃথক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাকে ওই মামলাগুলোতে গ্রেপ্তার দেখানোর নির্দেশ দেন আদালত।

আরও পড়ুন