দেশে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় এইচএসসি পরীক্ষা পেছানোর দাবিতে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের সামনে বিক্ষোভ করেছেন ২৫ থেকে ৩০ জনপরীক্ষার্থী।
রবিবার (২২ জুন) দুপুর ১টা থেকে এ রিপোর্ট লেখা (বেলা ৩টা) পর্যন্ত বোর্ডের প্রধান ফটকে অবস্থান করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন শিক্ষার্থীরা।
এ সময় তারা ‘সুরক্ষা না পরীক্ষা, পরীক্ষা পরীক্ষা’—এমন স্লোগান দিতে থাকেন। প্রায় তিন ঘণ্টা শিক্ষার্থীরা বোর্ডের প্রধান ফটক আটকে রাখায় সেবা নিতে আসা সাধারণ মানুষ ভোগান্তিতে পড়েন।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বলেন, করোনার সংক্রমণ ফের বাড়ছে। অনেক শিক্ষার্থী ও তাদের পরিবারের সদস্য ইতোমধ্যে আক্রান্ত হয়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে আমরা মানসিক ও শারীরিকভাবে প্রস্তুত নই। এখন পরীক্ষা নেওয়া হলে আমাদের স্বাস্থ্য হুমকির মুখে পড়বে।
শিক্ষার্থীরা আরও জানান, পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত অন্তত দুই মাস পরীক্ষা স্থগিত রেখে একটি যৌক্তিক সময়সূচি নির্ধারণ করা হোক। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এ আন্দোলন অব্যাহত রাখবে তারা।
তবে সেবা নিতে আসা অনেকেই শিক্ষার্থীদের এই অবস্থান কর্মসূচি নিয়ে বিরূপ প্রতিক্রিয়া জানান।
একজন অভিভাবক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘তোমরা বলছো, তিন লাখ শিক্ষার্থী পরীক্ষা দেবে। সেখানে আন্দোলনে এসেছে মাত্র ৩০ জন! আন্দোলন করো—কিন্তু আমাদের হয়রানি আর ভোগান্তিতে ফেলছো কেন?’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক ড. পারভেজ সাজ্জাদ চৌধুরী বাংলাধারা কে বলেন, ‘কিছু শিক্ষার্থী পরীক্ষা পেছানোর দাবিতে অবস্থান নিয়েছে বোর্ডের সামনে। বিভিন্ন বোর্ডেই শিক্ষার্থীরা এ দাবি নিয়ে যাচ্ছেন। তাদের যে দাবিগুলো ছিল সেসব আমরা আন্তঃবোর্ডে জানিয়েছি এবং তারা বিষয়টি গুরুত্বসহকারে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে জানাবেন। এছাড়া এককভাবে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার এখতিয়ার বোর্ডের নেই। পরিস্থিতি যদি সে রকম হয়, সরকার নিশ্চয় সেটা বিবেচনা করবে।’
বাংলাধারা/এফইএমএফ













