২৩ অক্টোবর ২০২৫

নেতা নুরুল আমিন ও আমিন চেয়ারম্যানের অনুসারীদের সংঘাতে আহত ১৫

কোন্দলের আগুনে পুড়ছে মিরসরাই বিএনপি!

চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলায় আবারও অভ্যন্তরীণ কোন্দলে জড়িয়ে পড়েছে বিএনপির স্থানীয় দুই গ্রুপ। উপজেলার বারইয়ারহাট এলাকায় নুরুল আমিন ও আমিন চেয়ারম্যান গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আবারও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে মিরসরাইয়ের রাজনৈতিক অঙ্গন, সৃষ্টি হয়েছে জনমনে আতঙ্ক।

জানা গেছে, গতকাল সন্ধ্যায় বারইয়ারহাট এলাকায় নুরুল আমিনের অনুসারীরা একটি রেস্টুরেন্টে নাস্তা শেষে বের হওয়ার সময় হামলার শিকার হন বলে অভিযোগ করেন। তাদের দাবি, আমিন চেয়ারম্যানের অনুসারীরা পরিকল্পিতভাবে এ হামলা চালিয়েছে। অপরদিকে, আমিন চেয়ারম্যানের অনুসারীরা পাল্টা অভিযোগ এনে বলেন, প্রথমে নুরুল আমিনের লোকজনই তাদের কটুক্তি ও আক্রমণ করে।

দুই নেতার পাল্টাপাল্টি অভিযোগ

বিএনপি নেতা নুরুল আমিন বলেন, “আমিন চেয়ারম্যানের লোকজন এলাকায় চাঁদাবাজি ও দখলবাজিতে জড়িত। এসব কর্মকাণ্ড নিয়েই বারবার সংঘর্ষ বাধছে। আমি বিষয়টি দলের হাইকমান্ডকেও জানিয়েছি। প্রশাসনও সঠিকভাবে পদক্ষেপ নিচ্ছে না।”

অন্যদিকে আমিন চেয়ারম্যান অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “আমি একজন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান, আমার দ্বারা এসব অনৈতিক কাজ সম্ভব নয়। বরং নুরুল আমিনই পরিকল্পিতভাবে এসব সংঘর্ষ ঘটাচ্ছেন।”

মানববন্ধন-বিক্ষোভে উত্তপ্ত রাজপথ

এদিকে আজ বিকেলে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে পাল্টাপাল্টি মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করে দুই পক্ষ। উভয় পক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে বক্তব্য দেন। এসব কর্মসূচিকে ঘিরে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।

জোরারগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল হালিম জানান, “গতকালের সংঘর্ষের ঘটনায় একপক্ষ মামলা দায়ের করেছে। আমরা তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নিচ্ছি। মিরসরাইয়ে শান্তি বজায় রাখতে কঠোর নজরদারি থাকবে।”

অভ্যন্তরীণ কোন্দলে একের পর এক সংঘর্ষে উদ্বিগ্ন মিরসরাইয়ের সাধারণ মানুষ। অনেকেই বলছেন, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বিএনপির অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব মিরসরাইয়ে অশান্তির নতুন সূত্রপাত ঘটিয়েছে। তারা দ্রুত এই রাজনৈতিক সহিংসতা বন্ধে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ও প্রশাসনের কার্যকর পদক্ষেপ কামনা করছেন।

এআরই/বাংলাধারা

আরও পড়ুন