রাত নামতেই চট্টগ্রাম নগরে ট্রাকভর্তি হয়ে আসছে চোরাই পণ্য। দেশের সীমান্তবর্তী অঞ্চল কুমিল্লা, ফেনী, রাঙামাটি, বান্দরবান ও টেকনাফ দিয়ে প্রবেশ করে এসব অবৈধ চালান ,যার বেশিরভাগই যাচ্ছে নগরীর টেরিবাজার, রিয়াজউদ্দিন বাজারসহ ব্যবসাকেন্দ্রগুলোতে।
চট্টগ্রামের বাজারজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে অবৈধ বিদেশি সিগারেট, কসমেটিকস, শাড়ি ও ভয়ংকর মাদকদ্রব্য। এতে যেমন বৈধ ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন, তেমনি সরকারের রাজস্ব হারিয়ে যাচ্ছে কোটি টাকায়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গেল এক বছরে শুধু নগর এলাকা থেকেই প্রায় ১০ কোটি টাকার অবৈধ সিগারেট জব্দ করেছে তবুও থামেনি চোরাচালানের স্রোত।
‘বাংলাধারা’র অনুসন্ধানে উঠে এসেছে এ সিন্ডিকেটের নেতৃত্বে রয়েছেন চট্টগ্রামের এনায়েত বাজার ওয়ার্ড যুবলীগের সাবেক সেক্রেটারি রেজাউল করিম আজম। অভিযোগ রয়েছে, আজম চট্টগ্রাম নগরের বড় বাজারগুলোতে অবৈধ পণ্যের মূল সরবরাহকারী। তার রাজনৈতিক পরিচয় ও প্রশাসনিক প্রভাবকে কাজে লাগিয়ে রাতের আঁধারে চলছে কোটি টাকার চোরাচালান ব্যবসা।
২০১৭ সাল থেকে আজম সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ শুরু করেন। পুলিশের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, চাঁদাবাজি ও প্রশাসন ম্যানেজ করে নিয়মিত চালান ঢুকছে নগরে। চিনির চালান থেকে শুরু করে বিদেশি কসমেটিকস, সিগারেট ও এমনকি মাদক সবই রয়েছে তার নিয়ন্ত্রণে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কোতোয়ালি থানা ও অন্যান্য থানায় আজমের নামে রয়েছে একাধিক মামলা। ২০২৪ সালে তার কাছ থেকে জব্দ করা হয় ২১ লাখ টাকার বিদেশি সিগারেট। তবে জামিনে বেরিয়ে এসে আবারও চালিয়ে যাচ্ছেন পুরনো কার্যক্রম।
তবে অভিযোগের বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে আজম অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “আমার বিরুদ্ধে এসব ষড়যন্ত্রমূলকভাবে করা হচ্ছে।”
চট্টগ্রাম কোতোয়ালি থানার ওসিকে একাধিকবার ফোন করা হলেও সাড়া মেলেনি। এদিকে, সচেতন ব্যবসায়ী সমাজ বলছেন, “চোরাচালান বন্ধ না হলে বৈধ ব্যবসায়ীরা পথে বসবে, সরকারও হারাবে রাজস্ব।”
এআরই/বাংলাধারা