২৩ অক্টোবর ২০২৫

জুলধায় আওয়ামী লীগ নেতাকে প্যানেল চেয়ারম্যান করার তোড়জোড়, বিএনপির ক্ষোভ

চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার জুলধা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ও জুলধা ইউনিয়ন ২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদস্য শরীফ মিয়াজিকে জুলধা ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান হতে তোড়জোড় চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

ইউপি সদস্য শরীফ মিয়াজি চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদনও করেছেন বলে জানা গেছে। এদিকে স্থানীয় বিএনপির কিছু নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে তাকে প্যানেল চেয়ারম্যান হতে সহযোগিতা করার অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে এলাকার জনসাধারণ এবং সাধারণ নেতাকর্মীদের মাঝে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

এছাড়া আওয়ামী লীগ নেতা শরীফ মিয়াজির বিরুদ্ধে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিএনপি ও জামায়াতের নেতাকর্মীদের মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করার অভিযোগ রয়েছে। ফলে ভুক্তভোগী নেতাকর্মীরা বিষয়টি কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছেন না।

জানা যায়, জুলধা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ও ২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদস্য শরীফ মিয়াজি আওয়ামী লীগের একজন সক্রিয় সদস্য ছিলেন। সাবেক ভূমিমন্ত্রী জাবেদ ও সাবেক কর্ণফুলী উপজেলা চেয়ারম্যান ফারুক চৌধুরীর যে কোনো অনুষ্ঠানে সামনের সারিতে থাকতেন।

সর্বশেষ ২০১৮ ও ২০২৪ সালের স্বৈরাচার সরকারের অবৈধ নির্বাচনে নৌকার পক্ষে এলাকায় গণসংযোগের ছবি এখনো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এতকিছুর পরও এই আওয়ামী লীগ নেতা কিভাবে এলাকায় দাপটের সাথে চলাফেরা করেন, তা নিয়ে প্রশাসনের নিকট প্রশ্ন রেখেছেন এলাকার বিএনপি-জামায়াতের সাধারণ নেতাকর্মীরা।

একজন তালিকাভুক্ত আওয়ামী লীগ নেতাকে প্যানেল চেয়ারম্যান অনুমোদন দিলে এলাকায় বিশৃঙ্খলা হওয়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।

সূত্র জানায়, ৫ আগস্টের পরিবর্তনের পর জুলধা ইউনিয়নের প্রশাসকের দায়িত্ব পালন করছিলেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) রয়া ত্রিপুরা। সম্প্রতি তাঁর অন্যত্র বদলি হয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার কর্ণফুলী উপজেলায় ছিল তার শেষ কর্মদিবস। তিনি চলে যাওয়াতে জুলধা ইউনিয়ন পরিষদে প্যানেল চেয়ারম্যান নিয়োগ দেওয়া হবে। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক প্যানেল চেয়ারম্যান নিয়োগ দেবেন।

এ বিষয়ে জুলধা ইউনিয়ন ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সাহাব উদ্দিন বলেন, “শরীফ মিয়াজি আওয়ামী লীগ করে এটা সবাই জানে। কিন্তু সকল ইউপি সদস্য স্বাক্ষর করেছে, এজন্য আমিও করেছি। আমি যদি না করি তাহলে আমার সাথে একটা দূরত্ব সৃষ্টি হবেনা?”

ইউপি সদস্য শরীফ মিয়াজি বলেন, “আমি আওয়ামী লীগ করলেও কোনো রকম নাশকতামূলক কাজে আমি জড়িত ছিলাম না। আপনি বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীদের কাছে জানতে পারবেন। আমার আবেদনে দশজন ইউপি সদস্য স্বাক্ষর করেছে।”

এ ব্যাপারে জানতে কর্ণফুলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও সহকারী কমিশনার (ভূমি)-এর মোবাইলে একাধিকবার কল দিলেও রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

আরও পড়ুন