২৩ অক্টোবর ২০২৫

চট্টগ্রাম জেলার শ্রেষ্ঠ মৎস্য উৎপাদনকারীর পুরস্কার পেলেন মিরসরাইয়ের কামরুল

চট্টগ্রাম জেলার শ্রেষ্ঠ মৎস্য উৎপাদনকারী হিসেবে পুরস্কার পেয়েছেন মিরসরাই উপজেলার মো. কামরুল হোসেন। সোমবার (১৮ আগস্ট) জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার ড. মো. জিয়া উদ্দিন ও মৎস্য অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক মো. আনোয়ার হোসেন এই পুরস্কার তুলে দেন।

সফল মৎস্য উৎপাদনকারী কামরুল হোসেন উপজেলার ৫ নম্বর ওচমানপুর ইউনিয়নের বাঁশখালী গ্রামের মৃত আব্দুল মান্নানের ছেলে। এর আগে তিনি মিরসরাই উপজেলা শ্রেষ্ঠ মৎস্য উৎপাদনকারীর পুরস্কারও পেয়েছেন।

জানা গেছে, ২০০৩ সালে ছোট একটি পুকুরে মাছ চাষ শুরু করেন কামরুল হোসেন। সেই থেকে শুরু। আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। জমি বন্ধক দিয়ে ৪০ হাজার টাকা পুঁজি নিয়ে শুরু হয় তার পথচলা।

কঠোর পরিশ্রম আর একাগ্রতা তাকে নিয়ে গেছে উন্নতির শিখরে। চট্টগ্রামের মৎস্য জোন হিসেবে খ্যাত মুহুরী প্রকল্প এলাকায় এখন শত শত মাছচাষির জন্য মডেল কামরুল হোসেন। আধুনিক পদ্ধতিতে মাছ চাষের জন্য তিনি উপজেলার মাছচাষিদের কাছে মডেল। অনেকে তাকে অনুসরণ করে চাষ করছেন। নিয়মিত তার কাছ থেকে পরামর্শ নেন চাষিরা।

মুহুরী প্রজেক্ট এলাকায় অবস্থিত ‘ফারহা মৎস্য প্রকল্প’ নামে তার প্রকল্প রয়েছে। এখন প্রায় ব্যক্তিগত ও যৌথভাবে ৫০০ একর জমিতে মাছ চাষ করে আসছেন।

কামরুল হোসেন বলেন, “২০০৩ সালে ছাত্র থাকা অবস্থায় আমাদের কিছু জায়গা বন্ধক দিয়ে ৪০ হাজার টাকা নিই। ৩০ হাজার টাকা দিয়ে পাঁচ বছরের জন্য একটি পুকুর ইজারা নেই। বারইয়ারহাটের একটি খাদ্যের দোকান থেকে বাকিতে খাদ্য নিয়ে মাছচাষ শুরু করেছি। প্রথম বছরে আড়াই লাখ টাকার মাছ বিক্রি করি। এরপর থেকে মাছ চাষের পরিধি বাড়াতে থাকি। বর্তমানে আমার প্রকল্পে অর্ধশত কর্মচারী রয়েছেন।

মাছচাষ আমার জীবনের একটি অংশ। নিজের কঠোর পরিশ্রম আর মানুষের দোয়ায় আমি সফল হয়েছি। সফলতার স্বীকৃতি হিসেবে চট্টগ্রাম জেলা মৎস্য অধিদপ্তর আমাকে জেলার শ্রেষ্ঠ মৎস্য উৎপাদনকারীর পুরস্কার দেওয়ায় আমি আনন্দিত।”

মিরসরাই উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. আরিফুর রহমান বলেন, “কামরুল হোসেন এখানকার অনেক বড় মৎস্য উৎপাদনকারী। তার দেখাদেখি আরও অনেকে মৎস্য শিল্পে জড়িত হয়েছেন। সবকিছু বিবেচনা করে তাকে জেলার শ্রেষ্ঠ মৎস্যচাষী নির্বাচিত করা হয়েছে।”

আরও পড়ুন