তারেক রহমান জিয়ার স্বপ্ন লালন করেন। তারেক রহমান একটি নতুন রাজনীতি উপহার দেবেন এবং তার নেতৃত্বে দেশ গড়ার চ্যালেঞ্জ নিয়েছি বলে জানিয়েছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি। ফ্যাসিস্ট হাসিনার কথাও ভুলা যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
শুক্রবার (২২ আগস্ট) দুপুরে লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলা ও পৌরসভা বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধনী বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। আলেকজান্ডার মডেল সরকারি পাইলট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এই আয়োজন করা হয়।
এ্যানি বলেন, ৫ আগস্টে যে ঘটনা ঘটেছে, তা নিয়ে আর কত কথা বলব, তা বেহুদা। কিন্তু যা হয়েছে তা মনে রাখার মতো। চিরদিন মনে রাখতে হবে সেই ফ্যাসিস্ট হাসিনার কথা, ভুলা যাবে না। তারেক রহমান জিয়ার স্বপ্ন লালন করেন। খালেদা জিয়ার আপোষহীন স্টাইলে কাজ করার চিন্তা করেন।
ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের কথাবার্তা, বডি ল্যাংগুয়েজ, বক্তব্য পরিবর্তিত। সুতরাং আগের রাজনীতি চলবে না। ১৭ বছরের ট্রেন্ড চলবে না। নতুনভাবে মানুষকে আশ্বস্ত করতে হবে। তারেক রহমান একটি নতুন রাজনীতি উপহার দেবেন। নতুন একটি সমাজব্যবস্থা উপহার দেবেন। কারণ আমরা তারেক রহমানের নেতৃত্বে দেশ গড়ার চ্যালেঞ্জ নিয়েছি।
শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি বলেন, হাসিনা যেদিন বিদায় নেন, তার আগ পর্যন্ত জেলে ছিলাম। ফেনীতে বক্তব্য দিয়েছিলাম, হাসিনাকে ছেড়ে কথা বলিনি। তারেক রহমানের নেতৃত্বে দেশ গড়তে হবে। এটি আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জ আমরা গ্রহণ করেছি। এটি আমাদের অধিকার, প্রত্যয়।
তিনি আরও বলেন, রাজনীতি করি, নেতৃত্ব দিই, ইনকামের জন্য? না, এটি চলবে না। রাজনীতি করবেন সেবা করার জন্য, সম্মানের জন্য। পদ যদি নিতে চান, পদ নেবেন; তবে পদের পেছনে কী কাজ করতে হবে, কী দায়িত্ব পালন করতে হবে তা বুঝে নেবেন এবং বুঝিয়ে দেবেন।
এটি তারেক রহমানের কথা। কেউ নেতা হয়ে মোড়লগিরি করবে এই ভাবনা থেকে সরে আসতে হবে। কারণ আমরা (বিএনপি) দেশ গড়ার চ্যালেঞ্জ হাতে নিয়েছি তারেক রহমানের নেতৃত্বে।
তিনি আরও বলেন, আজকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যে সংস্কারের কথা বলছেন, এই সংস্কার তারেক রহমানের ৩১ দফার প্রতিফল। প্রফেসর ইউনুস লন্ডনে গেছেন। তারেক রহমানের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এখন অনেকেই বলেন, তিনি কেন লন্ডনে বৈঠক করলেন। আগে তো বিএনপির সঙ্গে বৈঠক হবে। বিএনপি বড় দল।
তাদের দেশের পরিচালনার অভিজ্ঞতা রয়েছে। তারেক রহমান আগামি সরকারের প্রধানমন্ত্রী হবেন জানিয়ে এ্যানি বলেন, রমজানের আগে ফেব্রুয়ারিতে যদি নির্বাচন হয়, তাহলে আমরা ধরেই নিতে পারি বাংলাদেশের জাতীয়তাবাদী দল এ সরকারের প্রতিনিধিত্ব করবে। তারেক রহমান সেই সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করবেন।
এখন থেকে তারেক রহমান সেই প্রস্তুতি নিচ্ছেন, ১৮০ দিনে কী করবেন, ৩৬৫ দিনে কী করবেন। তাই নতুন চিন্তায় বর্বর-জঙ্গি যুগকে পাশ কাটিয়ে, ১৭ বছরের ট্রেন্ডকে বাদ দিয়ে, নতুন ট্রেন্ডে, নতুন চিন্তায় বাংলাদেশকে গড়তে তারেক রহমানের হাতকে শক্তিশালী করতে হবে।
জামায়াতকে উদ্দেশ্য করে এ্যানি বলেন, কেন হাসিনার বিরুদ্ধে লড়াই করছি আমরা? একসাথে জেলে গেছি। একসাথে ফ্যাসিস্টের বিরুদ্ধে লড়াই করেছি। জেলখানায় একসাথে থেকেছি। একসাথে নামাজ পড়েছি। তাহলে এখন ফাটল কেন?
রামগতি পৌর বিএনপির আহ্বায়ক সাহেদ আলী পটুর সভাপতিত্বে সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আহমেদ আযম খান ও প্রধান বক্তা ছিলেন বিএনপির সহ শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক এবিএম আশরাফ উদদিন নিজান।
রামগতি উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব সিরাজ উদ্দিনের সঞ্চালনায় এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূঁইয়া, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব সাহাব উদ্দিন সাবু, যুগ্ম আহ্বায়ক হাসিবুর রহমান, বাফুফে সহ-সভাপতি Wahid উদ্দিন হ্যাপি ও রামগতি উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক জামাল উদ্দিন প্রমুখ।