ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে স্বতন্ত্র ভিপি প্রার্থী জালাল আহমদ ওরফে ‘জ্বালাময়ী জালাল’-এর বিরুদ্ধে রুমমেটকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ছুরিকাঘাতের খবর ছড়িয়ে পড়লেও আহত শিক্ষার্থী রবিউল হক বিষয়টি নাকচ করেছেন। তিনি জানান, ছুরি নয়, টিউবলাইট দিয়ে মাথায় আঘাত করা হয়, যার আঘাতে তার মাথা ও বুকে গুরুতর ক্ষত সৃষ্টি হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) রাত সাড়ে ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজী মুহাম্মদ মুহসীন হলের ৪৬২ নম্বর কক্ষে ঘটনাটি ঘটে।
রবিউলের ভাষ্যমতে, ঘটনার সময় তিনি ঘুমিয়ে ছিলেন। জালাল ঘরে এসে বারবার লাইট অন-অফ ও উচ্চ শব্দ করতে থাকলে ঘুম ভেঙে যায়। তিনি বাধা দিলে জালাল ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে ‘বহিরাগত’ বলে গালাগাল করেন এবং হঠাৎ টিউবলাইট খুলে মাথায় আঘাত করেন। আঘাতে লাইট ভেঙে বুকে ঢুকে গভীর ক্ষত সৃষ্টি হয়।
আহত অবস্থায় সহপাঠীরা রবিউলকে উদ্ধার করে দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।
এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় ও হল প্রশাসন দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে জালাল আহমদকে তার কক্ষ থেকে বের করে শাহবাগ থানা পুলিশে সোপর্দ করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমদ জানান, ‘হল প্রশাসন বাদী হয়ে জালালের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা চলমান।’
ভিপি প্রার্থিতা নিয়ে প্রশ্ন উঠলে তিনি বলেন, ‘তার প্রার্থিতা বহাল থাকবে কি না, সে সিদ্ধান্ত নেবে নির্বাচন কমিশন। তারা তাদের নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে।’
এদিকে, এ হামলার ঘটনায় ক্যাম্পাসজুড়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। অনেকেই ডাকসুর মতো গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনে এমন সহিংস আচরণের কঠোর বিচার দাবি করেছেন।