চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় মধ্যরাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মদ তৈরির একটি কারখানায় অভিযান চালিয়ে ১১০ লিটার দেশীয় চোলাই মদ ও ৫০০ লিটার মদ তৈরির উপকরণ উদ্ধারের মামলার অন্যতম আসামি মোহাম্মদ জাহাঙ্গীরকে গ্রেফতার করেছে আনোয়ারা থানা পুলিশ। এসময় মদের কারখানা থেকে দুইজনকে আটক করা হয়।
সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার দক্ষিণ বারশত এলাকায় স্থানীয় জনতা তাকে অবরুদ্ধ করে রাখলে পরে আনোয়ারা থানা এসে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায়।
আটককৃত ব্যক্তি উপজেলার দক্ষিণ বারশত এলাকার নুর মোহাম্মদের ছেলে মো. জাহাঙ্গীর (৩০)। সে দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় মদ তৈরির কারখানা চালিয়ে বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি করে আসছিল বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, সহকারী পুলিশ সুপার (আনোয়ারা সার্কেল)-এর নেতৃত্বে আনোয়ারা থানার একটি চৌকস দল রাতের অন্ধকারে ওই এলাকায় হানা দেয়।
অভিযানে প্রায় ৫০০ লিটার গাজনকৃত তরল পদার্থ (যা থেকে মদ তৈরি হয়) এবং প্রস্তুত অবস্থায় থাকা ১১০ লিটার দেশীয় চোলাই মদ উদ্ধার করা হয়। এছাড়া, মদ তৈরির ড্রাম, পাত্র ও বিভিন্ন রাসায়নিক সরঞ্জামও জব্দ করা হয়।
এসময় ঘটনাস্থল থেকেই মদ উৎপাদনকারী জামাল ও পারভেজকে আটক করা হলে তারা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামি জাহাঙ্গীরের সহযোগিতায় দীর্ঘদিন ধরে এই এলাকায় গোপনে মদ উৎপাদন ও বিক্রির কথা স্বীকার করেছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ।
আনোয়ারা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মনির হোসেন জানান, দক্ষিণ বারশত এলাকার ফসলি জমির মধ্যবর্তী একটি ঘরে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ দেশীয় মদ ও তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছিল।
এ ঘটনায় দুইজনকে আটক করা হলেও বাকি দুইজন পলাতকের মধ্যে মোহাম্মদ জাহাঙ্গীরকে আজকে গ্রেফতার করা হয়। তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা রয়েছে।
আগামীকাল তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হবে। মাদকবিরোধী এ ধরনের অভিযান চলমান থাকবে। মাদকের বিরুদ্ধে আমাদের জিরো টলারেন্স নীতি অব্যাহত থাকবে।