মিরসরাইয়ে স্বামী মো. জিসানের (২৩) সঙ্গে ঝগড়া করে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন তাসলিমা আক্তার (২০) নামের এক গৃহবধূ।
গত সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে জোরারগঞ্জ ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের গোপিনাথপুর এলাকার আমিনুর রহমান মিস্ত্রী বাড়ির বুলু বেগমের ভাড়াটিয়া বাসায় এই ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। মঙ্গলবার সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেন জোরারগঞ্জ থানার ওসি এম আবদুল হালিম।
তাসলিমা আক্তার ফেনীর ছাগলনাইয়া থানার শুভপুর ইউনিয়নের জয়পুর এলাকার মুহুরী বাড়ীর মো. হানিফের মেয়ে। তিন বছর আগে প্রেম করে মো. জিসানকে বিয়ে করেছেন তাসলিমা। তাদের মো. আরিফ (২) নামের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলার জয়পুর গ্রামের মো. হানিফের মেয়েকে তিন বছর আগে জসিম উদ্দিনের ছেলে জিসানকে পছন্দ করে বিয়ে করেন তারা। গত প্রায় পাঁচ মাস আগে জিসান স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে আমিনুর রহমান মিস্ত্রী বাড়ির বুলু বেগমের ভাড়াটিয়া বাসায় উঠেন।
সোমবার বিকেলে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়। স্বামী ঘর থেকে বের হলে তাসলিমা ঘরের শৌচাগারে ঢুকে দরজা বন্ধ করে নিজের ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস দেন। পরে স্বামী ও স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
তাসলিমা আক্তারের বাবা মো. হানিফ বলেন, “মেয়ে পছন্দ করে বিয়ে করেছে। তাদের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। শুনছি স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া হয়েছে, তবে কি নিয়ে ঝগড়া হয়েছে তা জানি না। মেয়ের লাশের জন্য হাসপাতালে বসে আছি।”
জোরারগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম আবদুল হালিম জানান, “তাসলিমা আক্তার নামে এক গৃহবধূর আত্মহত্যার খবর পেয়ে পুলিশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন করেছে।
মঙ্গলবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য চমেক হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।” তিনি আরও জানান, “এখন পর্যন্ত তাসলিমার পরিবারের কেউ থানায় এসে যোগাযোগ করেনি। আমি নিজ খরচে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ হাসপাতলে পাঠিয়েছি। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।”