বিএনপির তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সহ-সম্পাদক এবং বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) মহাসচিব কাদের গণি চৌধুরী বলেছেন, ষড়যন্ত্রকারীরা আবারও বাংলাদেশের গণতন্ত্র হত্যার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। আজ যখন পুরো জাতি একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের মধ্য দিয়ে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আশায় অপেক্ষায়, তখনই এই ষড়যন্ত্রের জাল বোনা হচ্ছে।
তিনি বলেন, “জাতির বৃহত্তর স্বার্থে এসব ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে। ধানের শীষ উন্নয়নের প্রতীক স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব রক্ষা ও গণতন্ত্র সুসংহত করতে বিএনপি বদ্ধপরিকর।”
সোমবার (২৭ অক্টোবর) দুপুরে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির হেঁয়াকো বাজারে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান উপস্থাপিত ‘রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা’ লিফলেট বিতরণ শেষে আয়োজিত জনসমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
কাদের গণি চৌধুরী আরও বলেন, “স্বাধীনতার পর বারবার গণতন্ত্র সংকটে পড়েছে। স্বৈরশাসন, ফ্যাসিবাদ, দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার ও রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে জনগণের প্রত্যাশা ব্যাহত হয়েছে। বিএনপির ৩১ দফা এসব সংকটের বাস্তবসম্মত সমাধান এবং টেকসই গণতান্ত্রিক কাঠামো প্রতিষ্ঠার রূপরেখা দিয়েছে।”
তিনি বলেন, “বিএনপি সব মত ও পথের মানুষের সমন্বয়ে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক, বৈষম্যহীন ও সম্প্রীতিমূলক রাষ্ট্র গড়ার প্রতিশ্রুতিতে অটল। জনগণের ঐক্য, ন্যায়বিচার ও মানবিক মর্যাদার ভিত্তিতে ভবিষ্যতমুখী কল্যাণমূলক রাষ্ট্র গঠনের মধ্য দিয়েই বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে।”
কাদের গণি চৌধুরী আরও বলেন, “নানামুখী চক্রান্তের মধ্যেও দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বিএনপি অতন্দ্র প্রহরীর মতো দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। নির্বাসিত গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে অসংখ্য নেতাকর্মী জীবন উৎসর্গ করেছেন।”
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি নেতা সারোয়ার হোসেন, ওসমান তাহের সম্রাট, ইয়াকুব সিফাত, কামাল চৌধুরী, ইলিয়াস মেম্বার, রিফাত চৌধুরী, মাসুদ আজহার, হাসান হাফিজ, সোহেল সিকদার, সেলিম খান, আবদুল আল মামুন, মোহাম্মদ রানা, সুমন খান, জীবন মুসা, কামাল উদ্দিন, নুরুল আফছার, আবু সাঈদ রুবেল, সাইমুনুল করিম, আবদুল মান্নান, খোরশেদ মুন্নাফ চৌধুরী, ইসমাইল রাজ, আবদুর রাজ্জাক, ইলিয়াস বাচা, ওমর ফারুক, সোহেল রানা প্রমুখ।
