চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ও চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব ইলিয়াস কাঞ্চন এবং চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা যুবদলের সাবেক ধর্মবিষয়ক সম্পাদক আবদুল করিমসহ ৫৫ জন বিএনপি নেতার বহিষ্কারাদেশ বিএনপির এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
আরও যাদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে তারা হলেন, পিরোজপুরের জিয়ানগর উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফায়জুল কবির তালুকদার, বরগুনা জেলার বেতাগী পৌর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মো. এনামুল হক দুলাল, টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য মো. শাফী খান, মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ী উপজেলা যুবদলের সাবেক সদস্য মো. মাহবুবুর রহমান বাচ্চু, কেন্দ্রীয় শ্রমিকদলের সদস্য ফয়েজ আহমেদ লিটন, কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি মো. শাহজাহান মোল্লা, ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইউসুফ বেপারী, কৃষ্ণপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি মতিয়ার তালুকদার, চরভদ্রাসন উপজেলা কৃষকদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. জানে আলম, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলা বিএনপির সাবেক উপদেষ্টা ফারুক আহম্মেদ, রাজশাহী মহানগরের শাহ মখদুম থানা বিএনপির সাবেক সহসম্পাদক মো. আব্দুর সোবহান (লিটন), মতিহার থানা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি মো. আশারফুল হাসান বাচ্চু, মহানগর যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মো. নুরুজ্জামান টিটু, শাহ মখদুম থানা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি মো. টুটুল, মহানগর বিএনপির সাবেক সহসভাপতি মো. আনোয়ারুল আমিন আজম, রাজপাড়া বিএনপির সাবেক সহসভাপতি বদিউজ্জামান বদি, ২২নং ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মির্জা রিপন, মহানগর বিএনপির সাবেক সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক শামসুন নাহার, মহানগর বিএনপির সাবেক বন ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক আলফাতুন নেছা, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মোসা. মুসলিম বেগম বেলী, মহানগর মহিলা দলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মোসা. আয়সা খাতুন মুক্তি, রাজপাড়া থানা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি রুহুল আমিন টুনু, ১১নং ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি মো. আবু বকর কিনু, মহানগর মহিলা দলের সাবেক সহসভাপতি মোসা. শাহানাজ বেগম শিখা এবং শাহ মখদুম থানা যুবদলের সাবেক সভাপতি বেলাল আহম্মেদ।
এতে আরও রয়েছেন, নাটোর জেলা মহিলা দলের সাবেক সহসভাপতি মহুয়া পারভিন লিপি, শেরপুর জেলা বিএনপির সাবেক কোষাধ্যক্ষ আলহাজ্ব মো. এমদাদুল হক মাস্টার, হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি এস এফ এ এম শাহজাহান, মাধবপুর পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুজ আজিজ, শায়েস্তাগঞ্জ পৌর বিএনপির সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি আ স ম আফজাল আলী রুস্তম, মাধবপুর উপজেলার সাবেক তথ্য ও গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক মো. এখলাছুজ্জামান ভূঁইয়া, সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য নুরুল হক আফিন্দী, কৃষকদল কেন্দ্রীয় সংসদের সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান আউয়াল, সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য আরিফুল ইসলাম জুয়েল, দিরাই উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মো. গোলাপ মিয়া, সাবেক মহিলাবিষয়ক সম্পাদক ছুবি চৌধুরী, শাল্লা উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য মো. সাইফুর রহমান, শাল্লা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক আহ্বায়ক মো. আব্দুল মজিদ, শাল্লা উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি গণেন্দ্র চন্দ্র সরকার, তাহেরপুর উপজেলার বড়দল উত্তর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি মো. আবুল কাশেম, মধ্যনগর উপজেলার বংশীকুন্ডা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুল আউয়াল মিছবাহ, কক্সবাজার পৌর শ্রমিকদলের সাবেক সভাপতি আবছার কামাল, পৌর শ্রমিকদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ওসমান সরোয়ার টিপু, রাঙামাটি পৌর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক মো. হেলাল উদ্দিন, গাজীপুর সদর উপজেলার পিরুজালী ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সদস্যসচিব নাজমুল ফকির, সদর উপজেলা যুবদলের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক নাজিম সরকার, গাজীপুর মহানগরের বাসন মেট্রো থানা বিএনপির সাবেক সদস্য মো. মনিরুজ্জামান মনির, গাজীপুর মহানগরের ৪৯নং ওয়ার্ড বিএনপির যুববিষয়ক সম্পাদক মো. মোবারক হোসেন মিলন, সিলেট জেলা মহিলা দলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক পলিনা রহমান, পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য মোসা. হাসিনা বেগম, মির্জাগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মো. আশরাফ আলী হাওলাদার, মির্জাগঞ্জ উপজেলার কাকড়াবুনিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. কামাল হোসেন এবং ভোলার দৌলতখান উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. নাজিম উদ্দিন হাওলাদার।
তাদের সবাইকে দলের প্রাথমিক সদস্যসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে দলীয় সিদ্ধান্ত মোতাবেক আজ তাদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে প্রাথমিক সদস্যপদ ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ এবং দলের নীতি ও আদর্শ পরিপন্থী কার্যকলাপের জন্য বিভিন্ন সময়ে ৫৫ জন নেতার প্রাথমিক সদস্যপদসহ সব পর্যায়ের পদ স্থগিত করা হয়েছিল। প্রত্যাহার হওয়া নেতাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে দলীয় সিদ্ধান্ত মোতাবেক স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।













