২৪ ডিসেম্বর ২০২৫

তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন: নতুন বাংলাদেশের আলোর দিগন্ত!

৫ আগস্ট পরবর্তী বাংলাদেশের পরিবর্তিত রাজনীতির মহাকাব্য রচিত হতে যাচ্ছে ২৫ ডিসেম্বর, বৃহস্পতিবার!

২৫ ডিসেম্বর ২০২৫ সাল! একটি তারিখ, একটি দিন, একটি ইতিহাস! বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাসে আরও একটি নতুন অধ্যায় সংযোজিত হতে যাচ্ছে। দীর্ঘ ১৭ বছরের নির্বাসিত জীবনের অবসান ঘটিয়ে এই দিনে ঢাকার মাটিতে পা রাখবেন বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

উল্লেখ্য যে, উপনিবেশবাদ ও আধিপত্যবাদের বিভীষিকা থেকে জাতিকে মুক্তি দিতে ১৯৭৮ সালের ১লা সেপ্টেম্বর রমনার বটমূলের খোলা চত্বর থেকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-র ঘোষণা করেন স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমান। বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠাতা, অর্থনৈতিক মুক্তি এবং কৃষক-শ্রমিক-জনতার অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামের নায়ক হিসেবে বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাসে যাঁর নাম বারবার উচ্চারিত হবে, তিনি হচ্ছেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান।

২০২৪-২০২৫ সালের রাজনীতির সংকটময় মুহূর্তে নতুন বাংলাদেশের নতুন রাজনীতির তরুণ তুর্কি তারেক রহমানের দেশে আগমন নিয়ে নানা অনিশ্চয়তা ও নিরাপত্তা জনিত শঙ্কা উড়িয়ে দিয়ে অবশেষে আজ দেশে ফিরছেন তিনি।

তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে গঠিত অভ্যর্থনা কমিটির আহ্বায়ক হয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও চট্টগ্রামের কৃতি সন্তান সালাহ উদ্দিন আহমেদ। তাঁর নেতৃত্বে গঠিত অভ্যর্থনা কমিটির পাশাপাশি ২ হাজারের বেশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য এবং দলীয় নেতাকর্মীদের সমন্বয়ে ঢাকায় একটি নিছিদ্র নিরাপত্তা বেষ্টনী তৈরি করা হয়েছে।

তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশের রাজনীতিতে তৈরি হয়েছে নতুন সমীকরণ। দলের নেতাকর্মীদের মাঝে বিরাজ করছে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা। এই দিনটিকে ঘিরে রাজধানী ঢাকার ৩০০ ফিট এলাকায় তৈরি হয়েছে একটি নান্দনিক মঞ্চ।

সমাবেশের দুই দিন আগে থেকেই মানুষের উপচে পড়া ভিড় পরিলক্ষিত হচ্ছে। রাজনৈতিক সচেতন মহল মনে করছেন, এদিন ঢাকায় ৫০ লাখেরও বেশি মানুষের সমাগম ঘটবে। ইতিমধ্যে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিএনপি নেতাকর্মীরা দলে দলে ঢাকায় আসছেন। শুধু তাই নয়, বিশ্বের ৪০টিরও বেশি দেশ থেকে প্রবাসী নেতাকর্মীরাও দেশে ফিরেছেন।

দেশের অন্যতম গণমাধ্যম ‘প্রথম আলো’-র জরিপে উঠে এসেছে বিএনপি বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ দল এবং আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তারা বড় ব্যবধানে জয়ী হতে পারে। স্বাধীনতার ৫৩ বছরের ইতিহাসে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, বর্তমান রাজনৈতিক অস্থিরতা ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি কাটিয়ে উঠতে এবং আগামী দিনের নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে তারেক রহমান হতে পারেন রাজনীতির নতুন আলোকবর্তিকা। একজন রাজনৈতিক সচেতন ব্যক্তি হিসেবে আমিও মনে করি, দেশের সংকট সমাধানে, নাগরিক নিরাপত্তা ও শান্তি-শৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে এবং জাতীয় ঐক্য ও সমঝোতার পরিবেশ তৈরিতে তারেক রহমানের নেতৃত্ব আশার আলো দেখাতে পারে।

বিএনপি প্রতিষ্ঠার পর থেকে দলটি দেশের উন্নয়নে এবং বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় ব্যাপক অবদান রেখেছে। গত ১৭ বছর দলটি সবচেয়ে কঠিন সময় পার করেছে। এখন সব মতভেদ ভুলে চতুর্থ শিল্প বিপ্লব ও বিশ্বায়নের এই যুগে বাংলাদেশকে বিশ্বের দরবারে এগিয়ে নিতে হবে।

দেশের উচ্চশিক্ষিত ৪০ শতাংশেরও বেশি মানুষ এখন বেকার। এই বিপুল জনশক্তিকে জনসম্পদে পরিণত করতে দ্রুত কর্মসংস্থানের উদ্যোগ নিতে হবে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি নির্ভর শিক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে গড়তে হবে নতুন বাংলাদেশ। দেশের মানুষ শান্তি চায়, দু’বেলা নিশ্চিন্তে খেয়ে-পরে বেঁচে থাকতে চায়। সাধারণ মানুষের আকাঙ্ক্ষা খুব সামান্য। কিন্তু দুঃখজনক সত্য হলো, দীর্ঘমেয়াদী ক্ষমতার লোভ দেশকে বারবার সংকটে ফেলেছে।

আর নয় রাজনৈতিক সহিংসতা। রাজনৈতিক অরাজকতায় আর কত মানুষ প্রাণ দেবে? দেশের সচেতন নাগরিকরা আজ এই প্রশ্নই তুলছেন। আমরা প্রত্যাশা করি একটি সুন্দর, স্বনির্ভর, আধিপত্যবাদমুক্ত এবং অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ নতুন বাংলাদেশের।

আরও পড়ুন

এ সম্পর্কিত আরও

সর্বশেষ