ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের অংশ হিসেবে চট্টগ্রাম-৫ (হাটহাজারী-আংশিক বায়েজিদ) আসনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) মনোনীত প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন।
আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় রিটার্নিং কর্মকর্তা ও বিভাগীয় কমিশনার মো. জিয়াউদ্দীনের হাতে মনোনয়নপত্র জমা দেন তিনি।
চট্টগ্রামের ১৬ সংসদীয় আসনে গতকাল শনিবার পর্যন্ত মনোনয়ন ফরম নিয়েছেন ১৯২ প্রার্থী। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, আগামীকাল ২৯ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র জমাদানের শেষ দিন। ত্রয়োদশ নির্বাচনে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার পাঁচটি আসনের রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্বে আছেন।
বিভাগীয় কমিশনারের হাতে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া শেষে মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘তারেক রহমান যে দিন বাংলাদেশে আসার ঘোষণা দিয়েছেন, ওই দিন থেকেই নির্বাচনী মাঠে যে অস্থিতিশীলতা ছিল, সেটি অনেকটা কাটতে শুরু করে। যেদিন উনি দেশে নেমেছেন, ওই দিন থেকে সব ধরনের অস্থিতিশীলতা-অনিশ্চয়তা কেটে গেছে। দেশ নির্বাচনের দিকে যাচ্ছে এবং সুষ্ঠু-সুন্দর একটি নির্বাচন হবে ১২ ফেব্রুয়ারি।’
চট্টগ্রামের ১৬টি আসনের মধ্যে ১৫টিতে প্রার্থী ঘোষণা করেছে বিএনপি। আজ রোববার সকাল পর্যন্ত চট্টগ্রাম-১৪ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়নি। গতকাল শনিবার চট্টগ্রামের দুইটি আসনে প্রার্থী পরিবর্তন করা হয়। সীতাকুণ্ড আসনে উত্তর জেলা বিএনপি’র সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী সালাউদ্দিনের পরিবর্তে বিএনপি’র সাবেক যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরীকে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়।
হালিশহর-ডবলমুরিং আসন থেকে বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে সরিয়ে বন্দর-পতেঙ্গা আসনে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে। ডবলমুরিং আসনে দেওয়া হয় বিএনপি’র প্রয়াত নেতা আবদুল্লাহ আল নোমানের ছেলে সাঈদ আল নোমানকে। নির্বাচন কমিশনের তফসিল অনুযায়ী, আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট অনুষ্ঠিত হবে।
মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৯ ডিসেম্বর। মনোনয়নপত্র বাছাই চলবে ৩০ ডিসেম্বর থেকে ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ২০ জানুয়ারি। প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে পরদিন ২১ জানুয়ারি। ২২ জানুয়ারি প্রচারণা শুরু করতে পারবেন প্রার্থীরা। চলবে ১০ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে সাতটা পর্যন্ত।













