বাংলাধারা প্রতিবেদন »
নগরীর আলোচিত আওয়ামী লীগ নেতা দিদারুল আলম মাসুমকে অবশেষে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
রোববার (৪ আগস্ট) রাতে রাজধানীর বনানী এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয় বলে নিশ্চিত করে পিবিআই চট্টগ্রাম নগরের পরিদর্শক সন্তোষ কুমার চাকমা বলেন, ‘সুদীপ্ত হত্যা মামলায় দিদারুল আলম মাসুমকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’
এর আগে তার নামে থাকা দুইটি অস্ত্রের লাইসেন্স বাতিল করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়।
গত ২২ জুলাই লালখান বাজার ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দিদারুল আলম মাসুমের বিরুদ্ধে অন্তত এক ডজন হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকাসহ বিভিন্ন অভিযোগ এনে অস্ত্রের লাইসেন্স বাতিলের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আবেদন করেন স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর এ এফ কবির আহমেদ মানিক।
এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ৩১ জুলাই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের উপ সচিব আবদুল জলিল স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে দিদারুল আলম মাসুমের নামে থাকা আগ্নেয়াস্ত্র লাইসেন্স নং-৫৪৪৪/ডবলমুরিং ও ৩৩/খুলশী বাতিল করা হয়। একই সঙ্গে তার কাছে থাকা অস্ত্র ও গুলিও জব্দ করার নির্দেশ দেওয়া হয়। গত শনিবার দুপুরে নগরের খুলশী থানায় গিয়ে অস্ত্র দুইটি জমা দিয়ে আসেন মাসুম।
১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে নগরের লালখান বাজার এলাকায় আধিপত্য বিস্তার শুরু করে ফেনী জেলার ছাগলনাইয়া উপজেলার আলম বাজার গ্রামের আব্দুল হকের ছেলে দিদারুল আলম মাসুম। ২০০১ সালে চারদলীয় জোট ক্ষমতায় এলে তিনি জেল খাটেন। জামিনে বেরিয়ে তিনি মধ্যপ্রাচ্য চলে যান। সেখানে তিনি ব্যবসা-বাণিজ্য করেন।
২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এলে তিনি দেশে ফিরেন। ২০১৩ সালের ৮ এপ্রিল চট্টগ্রাম নগরের ওয়াসা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সঙ্গে সংঘর্ষে দিনদুপুরে প্রকাশ্য শটগান বের করে গুলি চালান দিদারুল আলম মাসুম। ওই সময় তার কাছে থাকা অস্ত্রের বৈধতা নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়।
সর্বশেষ ২০১৭ সালের ৬ অক্টোবর সদরঘাট থানার দক্ষিণ নালাপাড়ার বাসা থেকে বের করে নিয়ে এসে নগর ছাত্রলীগের সহ সম্পাদক সুদীপ্ত বিশ্বাস খুন করা হয়। এ ঘটনায় গ্রেফতার মোক্তার হোসেন ও ফয়সাল আহমেদ পাপ্পু বড় ভাইয়ের নির্দেশে সুদীপ্তকে পিটিয়ে খুন করেছে বলে আদালতে স্বীকার করেছে। তবে বড় ভাই হিসেবে তারা কারো নাম উল্লেখ করেননি।
কিন্তু গত ১২ জুলাই মিজানুর রহমান নামে আরেক আসামী আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে দিদারুল আলম মাসুমের নির্দেশে সুদীপ্তকে হত্যা করা হয়েছে বলে উল্লেখ করেন।
বাংলাধারা/এফএস/এমআর













