বাংলাধারা ডেস্ক »
কুড়িগ্রামে মেয়েকে শ্বশুরবাড়ির নির্যাতনের হাত থেকে বাঁচাতে গিয়ে হামলার শিকার হয়ে নিহত হয়েছেন এক বাবা। ঘটনার পর থেকেই পলাতক রয়েছেন অভিযুক্তরা। তবে আসামিদের গ্রেফতার করে দ্রুত আইনের আওতায় আনার আশ্বাস দিয়েছে পুলিশ।
নি’র্যাতনের হাত থেকে মেয়েকে বাঁচাতে গিয়ে নিজেই লা’শ হয়ে ফিরলেন কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার হ’তভাগা বাবা জহুর আলী। বাবাকে হারিয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন মেয়ে মোহসীনা বেগম।
পাঁচ বছর আগে নাগেশ্বরীর ঝাকুয়াবাড়ি গ্রামের মমিনুলের সঙ্গে বিয়ে হয় পাশের উচাভিটা গ্রামের মোহসীনা বেগমের। বিয়ের পর থেকেই নানা অজুহাতে তাকে নির্যাতন করতো শ্বশুর বাড়ির লোকজন। শনিবার সকালে গৃহবধূ মোহসীনা বেগমকে মারধোর করে তারা।
খবর পেয়ে ঘটনার দিন সন্ধ্যায় মেয়েকে আনতে যান বাবা জহুর আলী। এ সময় তাকে ব্যাপক মা’রধোর করে মেয়ের শ্বশুর বাড়ির লোকজন। এতে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তার। ঘটনাস্থল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায় পুলিশ।
মোহসীনা বেগমের বোন বলেন, তারা আমার বোনকে খুব অত্যাচার করে। আমার বাবাকে খবর দেয়। বাবা গেলে তাকে মেরে ফেলে। মোহসীনার ভাই বলেন, আমার বোনকে অত্যাচার করে বাবাকে খবর দেয়। তিনি একা একাই সেখানে যান। তারপরেও তাকে মারধর করে। তিনি রাতে মারা যান। আমি এই হত্যার বিচার চাই।
নাগেশ্বরী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রওশন কবির জানান, এ ঘটনায় মোহসীনা বাদী হয়ে শ্বশুর-শাশুড়িসহ ৬ জনকে আসামি করে নাগেশ্বরী থানায় একটি মামলা করেন। আমরা লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
সূত্র: জুমবাংলা
বাংলাধারা/এফএস/এমআর













