৭ ডিসেম্বর ২০২৫

পটিয়ায় পোষাক শ্রমিককে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা

পটিয়া প্রতিনিধি »

চট্টগ্রামের পটিয়া পৌর সদরের আল্লাই ওখাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে জাহাঙ্গীর আলমের কলোনিতে এক পোষক শ্রমিককে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এ ঘটনায় পটিয়া উপজেলার কুসুমপুরা ইউনিয়নের বানিগ্রাম এলাকার নুর মিস্ত্রির পুত্র আলমগীর (৩২)সহ তিন জনের বিরুদ্ধে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত মঙ্গলবার ধর্ষণের শিকার পোষাক শ্রমিক বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।

অভিযুক্ত ধর্ষক আলমগীরের বিরুদ্ধে একাধিক নারী নির্যাতন ধর্ষণের অভিযোগ অনেক আগে থেকে রয়েছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। কিছুদিন আগেও আলমগীর এই ধরণের ঘটনায় পুলিশের হাতে আটক হয়।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, পটিয়া বিসিক শিল্প নগরীর কারখানায় কর্মরত বান্দরবান জেলার নাইক্ষনছড়ী এলাকার কিশোরী মেয়ে। উপজেলার কচুয়াই এলাকাতে ভাড়া বাসায় থাকতেন। আসামি আলমগীরের পরিচালনাধিন নিহা কুলিং কর্ণারে মোবাইলে রিচার্য করতে গেলে আসামি আলমগীরের সাথে পরিচয় হয়। পরিচয়ের সূত্র ধরে প্রেমের প্রস্তাব দেন। কিশোরী প্রস্তাব প্রত্যাখান করলে প্রেমের পর বিয়ে করার আশ্বাস দেন। কিশোরী ধর্ষক আলমগীরের কথামত বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে শারিরীক সর্ম্পক গড়ে তোলে। এক পর্যায়ে ধর্ষক আলমগীরের দোকান নিহা কর্লিং কর্ণারের পাশে আল্লাই স্কুলের উত্তর জাহাঙ্গীর কলোনিতে বাসায় নিয়ে আসে।

গত ১ মে থেকে ধর্ষক আলমগীর তিন মাস ধরে নিয়মিত স্বামী স্ত্রীর মত থেকে ধর্ষণ করে আসছে। । কিছুদিন যাওয়ার পর বিষয়ে প্রস্তাব দিলে ধর্ষক আলমগীর (৩২) কারখানার শ্রমিককে বিয়ে করবে না বলে জানিয়ে দেয়। বিষয়টি আলমগীরের পিতা নুর আলম মিস্ত্রি ও তার ভাই সাইফুল ইসলামকে জানানো হলে তারা বিয়ের দায়িত্ব নিতে পারবে না বলে জানিয়ে দেয়। ধর্ষণের শিকার কিশোরীকে বিভিন্নভাবে হুমকি দিয়ে আসছে আলমগীরের বাবা নুর আলম মিস্ত্রি ও তার ভাই সাইফুল ইসলামসহ পরিবারের সদস্য।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কলোনির মালিক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি তবে মামলা হয়েছে কিনা জানি না, আমি বিস্তারিত খোঁজ খবর নিয়ে বলতে পারব।

চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত পটিয়ার পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট বদিউল আলম ঘটনাটির মামলার ব্যাপারে নিশ্চিত করে জানান আসামিদের গ্রেফতারের জন্য আদালক পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন।

বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ফোরকান উদ্দীন বলেন, মামলার আসামিরা সবাই পলাতক রয়েছে, বাদীকে আসামি বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দিনের পরদিন ধর্ষন করেছে, বাদী বুঝতে পারার পর বিয়ের নামে প্রতারণা করে ধর্ষন করছে শেষ পর্যন্ত আদালতের মাধ্যমে আইনের আশ্রয় নিয়েছে।

বাংলাধারা/এফএস/এমআর

আরও পড়ুন