৮ ডিসেম্বর ২০২৫

চলাচলের রাস্তায় রেল লাইনের স্লিপার, দূর্ভোগে জনজীবন

বাংলাধারা প্রতিবেদন »

কাজ শুরু করার নাম নেই, তার আগেই পথচারী চলাচলের রাস্তাটুকুতে রেললাইনের স্লিপার ফেলে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেছে রেল কর্তৃপক্ষ। রাস্তা অর্ধেক ব্লক থাকায় জনদুর্ভোগের পাশাপাশি সৃষ্টি হয়েছে যানজট।

বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) নগরীর মুরাদপুর পিলখানা রোড রেল গেইট এলাকায় গিয়ে এমন দৃশ্য দেখা যায়।

রেল কর্তৃপক্ষের এমন কান্ডজ্ঞানহীন কর্মকাণ্ডে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে পথচারী থেকে শুরু করে স্থানীয় লোকজন। কেউ কেউ আবার তিক্ততা ঝেড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে।

পিলখানা রোডের সাতকানিয়া স্টোরের কর্মচারী মোতালেব বলেন, মানব ও যান চলাচলের রাস্তা ব্লক করে রেললাইনের স্লিপার রেখেছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। এখন মানুষ হাঁটবে কি করে? পাশাপাশি কোন দূর্ঘটনা ঘটলে এর দায়ভার কে নেবে?

এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করা প্রাইভেট কারের চালক আবদুল আলিম বলেন, এমনিতেই রাস্তাটা ছোট। তারপর একই সাথে গাড়ি যাওয়া আসা করে। এর উপর অর্ধেকের বেশি এই পিলারগুলো এখানে রাখা। আল্লাহ না করুক কোনো ধরনের দুর্ঘটনা ঘটলে, তখন কী হবে? যার যায় সেই বোঝে। তাদের তো মাথাব্যথা নেই।

রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন চট্টগ্রামের (রিহাব) পরিচালক আব্দুল গাফফার মিয়াজী তার ফেসবুক টাইমলাইনে লিখেছেন, কত বড় আক্কেল হীন বেয়াকুফ রেল কর্মচারী কর্মকতা। রাতের অন্ধকারে মুরাদপুর পিলখানা রোডে মানুষের চলাচলের রাস্তায় ফেলে গেল জিনিসগুলো।

এ প্রসঙ্গে পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কাশেম ভূঁইয়া বলেন, এসবে জনদূর্ভোগ সৃষ্টি হয়। এ ধরনের যেকোনো কাজ করার ক্ষেত্রে আরেকটু সর্তকতা অবলম্বন করা দরকার। যাতে মানুষ চলাচলের ক্ষেত্রে বিঘ্ন না ঘটে। কেউ আঘাতপ্রাপ্ত না হয়।

রেলওয়ের বিভাগীয় প্রকৌশলী শেখ নাইমুল হক বলেন, এগুলো রেলপথ নবায়নের জন্য ব্যবহার করা হবে। আমাদের কাজের জন্যই রাখছি। কাজ শুরু হলে তখন আর থাকবে না। এটা যেহেতু রিনিউ হবে তখন থাকবে না।

কবে নাগাদ কাজ শুরু হবে এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটা খুব বেশিদিন থাকবে না। আমরা সহসাই কাজ শুরু করবো।

এক জায়গায় স্তুপ করে না রেখে এভাবে ছড়িয়ে রাখা কেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এক জায়গায় রাখলে তো সেটা পরে টানা লাগবে। তাই কাজের সুবিধার্থে রেললাইনের পাশে রাখা হয়েছে।

৮নং শুলকবহর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. মোরশেদুল আলম বলেন, আসলে বিষয়টি আমার জানা নেই। তাছাড়া এলাকাবাসীও আমাকে অবহিত করে নি। আমি এখনই দেখে কর্তৃপক্ষকে জানাবো।

বাংলাধারা/এফএস/এমআর/টিএম

আরও পড়ুন

এ সম্পর্কিত আরও

সর্বশেষ