বাংলাধারা প্রতিবেদন »
দেশের রাষ্ট্রায়াত্ব ব্যাংকের অন্যতম জনতা ব্যাংক লি: চট্টগ্রাম বিভাগীয় শাখা ব্যবস্থাপক সম্মেলন গতকাল শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০ টায় নগরীর আগ্রাবাদ হোটেলের ক্রিস্টাল বলরুমে অনুষ্ঠিত হয়।
সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে খ্যাতিমান অর্থনীতিবিদ ও ব্যাংকের চেয়ারম্যান ড. জামালউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ব্যাংকাররা হচ্ছেন দেশের অর্থনৈতিক যোদ্ধা। ব্যাংকে যারা কাজ করেন তাদের একমাত্র লক্ষ্য হচ্ছে দেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া।
তিনি বলেন, বাংলাদেশকে ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে পরিণত করতে যে অর্থনৈতিক উন্নয়ন প্রয়োজন সেজন্য আমাদের ব্যাংকারদের কার্যকর ভূমিকা পালন করতে হবে। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন অগ্রগতি তুলে ধরে তিনি বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশ সব দিক থেকে এগিয়ে যাচ্ছে। দেশের অর্থনীতির আকারও বাড়ছে। এই লক্ষ্যকে সামনে রেখে ব্যাংকের কর্মকর্তাদের উৎসাহিত, উদ্দীপ্ত ও কর্তব্য কাজে আরো বেশি মনোনিবেশ করতে হবে। কেননা বর্তমান পরিবর্তনশীল বিশ্বে আর্থিক খাতের নেতৃত্ব বিকাশের কোনো বিকল্প নেই।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ব্যাংকিং খাতে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের রূপকল্প ২০২১ এবং ২০৪১ সামনে রেখে ব্যাংকিং খাতে ব্যাপক পরিবর্তন ঘটানো হয়েছে। গৃহীত হয়েছে নানা পরিকল্পনা ও উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড। অবকাঠামোগত উন্নয়নের মাধ্যমে ব্যাংক খাতকে আধুনিক ও ডিজিটালাইজড ব্যাংক হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছে। মোবাইল ব্যাংকিং, ২৪ ঘণ্টা-অনলাইন ব্যাংকিং, ই-কমার্স ব্যাংকিং সলিউশনসহ নানা কর্মকান্ডের মাধ্যমে সমগ্র ব্যাংকিং খাতকে তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছে।
সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন হিসেবে জনতা ব্যাংক লি: এর সিইও এন্ড ম্যানেজিং ডিরেক্টর বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আব্দুছ ছালাম আজাদ ও ডিএমডি মো. জিকরুল হক। অতিথি হিসেবি উপস্থিত ছিলেন প্রধান কার্যালয়ের চীফ ফিন্যান্সিয়াল অফিসার এ কে এম শরীয়ত উল্লাহ্ ও জেনারেল ম্যানেজার হোসেন ইয়াহ্ইয়া চৌধুরী। চট্টগ্রাম বিভাগের জেনারেল ম্যানেজার মো. কামরুল আহছানের সভাপতিত্বে সম্মেলনে ডিজিএমদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মো. হুমায়ুন কবির চৌধুরী, ফারুক আহমদ, মো. সিরাজুল করিম মজুমদার, মো.সরওয়ার কামাল, মো. জাকারিয়া, ও মো. মোস্তফা আনোয়ার।
সহকারী মহাব্যবস্থাপকদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মো.নুরুল মোস্তফা, রাখাল রঞ্জন নাগ, পিযুষকান্তি ভদ্র, আলেয়া বেগম, আবদুস শাকুর প্রমুখ। এছাড়াও সকল শাখা ব্যবস্থাপক নিজ নিজ শাখার অগ্রগতি ও অবস্থান তুলে ধরেন।
ঊপস্থিত ব্যাংক কর্মকর্তাদের উদ্দেশে চেয়ারম্যান ড. জামালউদ্দিন আহমেদ আরো বলেন, গ্রাহকদের সুযোগ সুবিধার কথা মাথায় রেখে তাদের সর্বোচ্চ সেবা নিশ্চিত করতে হবে। বিশেষ করে নারীদের ব্যাংকমুখি করতে তাদের নানা সহযোগিতা দিতে হবে। সহজ সেবার মাধ্যমে ব্যাংকের সাথে তাদের সংযোগ ঘটাতে হবে। সেবার নতুন নতুন খাত সৃষ্টি করার উদ্যোগ নিতে হবে।
বিশেষ অতিথি সিইও এন্ড এমডি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আব্দুছ ছালাম আজাদ বলেন, রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংক হিসেবে জনতা ব্যাংকের সামাজিক দায়বদ্ধতা রয়েছে। দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে ও বৈদেশিক রেমিটেন্স-এর ক্ষেত্রে জনতা ব্যাংক অগ্রণী ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। ব্যবস্থাপকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আমাদের অতীতের সাফল্যগুলোকে মনে রাখতে হবে। কারণ আমরা ব্যর্থতা থেকে সফলতার দিকে যেতে পারি। ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প উদ্যোক্তাদের ঋণদান, কৃষি ও মহিলা উদ্যোক্তাদের ঋণদানের ব্যবস্থা করে সর্বস্তরের জনগণকে সেবা প্রদান করতে হবে। পাশাপাশি শ্রেণিকৃত ঋণ আদায়ে সর্বাধিক গুরুত্ব দিতে হবে। প্রতিযোগিতামূলক ব্যাংকিং ব্যবসায় গ্রাহককে সন্তুষ্ট করতে স্মার্ট ব্যাংকিং সেবা নিশ্চিত করার উপর গুরুত্ব দিয়ে তিনি বলেন, জনতা ব্যাংক জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে গড়া একটি ব্যাংক। এই ব্যাংকের সুনাম কেবল দেশে নয় আন্তর্জাতিকভাবেও স্বীকৃত।
সভাপতির বক্তৃতায় জেনারেল ম্যানেজার কামরুল আহছান বলেন, সময়ের সাথে ব্যাংকিং খাতে সেবার পরিধি বাড়ছে, সাথে বাড়ছে চ্যালেঞ্জও। শিল্পায়ন ও উদ্যোক্তা সৃষ্টিতে জনতা ব্যাংক নানামুখি কাজ করে যাচ্ছে। চলতি ২০১৯ সালের সকল বাণিজ্যিক লক্ষ্যমাত্রা যাতে অর্জিত হয় সে লক্ষ্যে সকলকে আরো সক্রিয় ভূমিকা নিতে হবে।
পেস বিজ্ঞপ্তি
বাংলাধারা/এফএস/এমআর













