বাংলাধারা ডেস্ক »
ফাইনাল নিশ্চিত করতে ত্রিদেশীয় সিরিজে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে আজ বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে মাঠে নামছে বাংলাদেশ। ম্যাচটি শুরু হবে সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিটে। এই ম্যাচ জিতলে এক ম্যাচ হাতে রেখেই ফাইনালে চলে যাবে টাইগাররা। তবে যদি হেরে যায় তাহলে কি বাংলাদেশ ফাইনালে যেতে পারবে? এমন প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে দেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের মনে। তবে সুখবর হচ্ছে আজ হারলেও ফাইনালে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে টাইগারদের।
টুর্নামেন্টে টিকে থাকতে আক্ষরিক অর্থেই ম্যাচটিতে জিম্বাবুয়ানদের জয়ের বিকল্প নেই। হেরে গেলেই বেজে যাবে বিদায় ঘণ্টা। আর বাংলাদেশ উঠে যাবে ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে। কেননা এরপর জিম্বাবুয়ের হাতে থাকবে কেবল মাত্র একটি ম্যাচ। সেখানে আফগানদের হারালেও লাভ নেই। মাত্র দুই পয়েন্ট নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হবে।
আর যদি এই ম্যাচে বাংলাদেশকে হারাতে পারে তবেই টুর্নামেন্টে নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে পারবে। সেক্ষেত্রে অবশ্য অপেক্ষা বাড়বে বাংলাদেশের।
তবে বাংলাদেশ সেই অপেক্ষায় থাকতে চাইবে না। মিরপুর শের-ই-বাংলায় টুর্নামেন্টে নিজেদের প্রথম ম্যাচে জিম্বাবুয়েকে হারিয়ে টুর্নামেন্টের প্রথম জয় তুলে নিলেও পরের ম্যাচেই রশিদ-মুজিব ঘূর্ণি যাদুতে নাকাল হয়ে ঘরের মাঠে নিজেদের সামর্থ্যকে করেছে প্রশ্নবিদ্ধ। ক্রিকেটে মাত্র ১০ বছর বয়সী আফগানদের চোখ ধাঁধানো পারফরম্যান্স অঙ্গুলি নির্দেশ করেছে ৩৩ বছর বয়সী বাংলাদেশ ক্রিকেটের ভাবমূর্তির দিকেও।
ঠিক এমন অবস্থার মধ্য দিয়ে যাওয়া স্বাগতিক দলটি নিঃসন্দেহে আগামীকালের ম্যাচটিতে প্রবল বিক্রমে ঘুড়ে দাঁড়াতে চাইবে। টানা দুই ম্যাচে ব্যাটিং, বোলিংয়ের দুর্দশার পুনরাবৃত্তি নিশ্চয়ই এই ম্যাচটিতে দেখতে চাইবে না।
জিম্বাবুয়েও যে হাত-পা গুটিয়ে বসে থাকবে না সেকথাও কিন্তু নির্দিধায় বলা যায়। বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানের কাছে টানা দুই ম্যাচ হেরে টুর্নামেন্ট হাতছাড়া হওয়ার উপক্রম হওয়ায় তারাও চাইবে সাগরিকায় প্রথম ম্যাচেই বাজিমাত করতে।
আর এক্ষেত্রে তারা প্রেরণা নিতে পারে টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচটি থেকে। গেল ৫ সেপ্টেম্বর মিরপুর শের-ই-বাংলায় টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা দলটি বাংলাদেশকে মাত্র ১৪৫ রানের লক্ষ্য দিয়েছিল। যা ছুঁতে ৬০ রান তুলতেই ৬ ব্যাটসম্যানকে হারিয়েছিল লাল সবুজের দল। দলের এমন ঘোর বিপদে ত্রাতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হন আফিফ হোসেন। ২৬ বলে তার ৫২ রানের ঝড়ো ইনিংসে সেদিন জিম্বাবুয়েকে হারাতে সক্ষম হয় সাকিব আল হাসান ও তার দল। তা না হলে হয়তো জয়ের গল্পটা রোডেশিয়ানরাই লিখত।
বাংলাধারা/এফএস/এমআর/এএ













