৫ নভেম্বর ২০২৫

আটকের তিন ঘন্টার মাথায় ‘বন্দুকযুদ্ধে’ রোহিঙ্গা দম্পতি নিহত

কক্সবাজার প্রতিনিধি »

আটকের তিন ঘন্টার মাথায় কক্সবাজারের টেকনাফে পুলিশের সাথে কথিত ‘বন্দুকযুদ্ধে’ স্ত্রীসহ নিহত হয়েছেন রোহিঙ্গা ডাকাত দিল মোহাম্মদ।

শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ১২ টার দিকে টেকনাফের লেদা রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। বন্দুকযুদ্ধের ঘন্টা তিনেক আগে সেনা-পুলিশের যৌথ অভিযানে অস্ত্রসহ তারা আটক হন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ।

নিহতরা হলেন, টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের লেদা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সি-ব্লকের মৃত কাদের হোছাইনের ছেল দিল মোহাম্মদ (৩২) ও তার স্ত্রী জাহেদা বেগম (২৭)। পুলিশের দাবি, নিহত দিল মোহাম্মদ প্রসিদ্ধ ডাকাত। স্ত্রী তার সহযোগী। দু’জনের কাছে অবৈধ অস্ত্র মজুত ছিল। ঘটনাস্থল থেকে দুটি এলজি, একটি থ্রিকোয়ার্টার, আটটি তাজা কার্তুজ ও ১২ রাউন্ড কার্তুজের খোসা উদ্ধার করা হয়েছে। বন্দুকযুদ্ধের সময় পুলিশের এএসআই নিজাম এবং কনস্টেবল শাহাদত ও সুদর্শন আহত হয়েছেন।

ওসি প্রদীপ কুমার দাশ জানান, শনিবার রাতে উপজেলার হ্নীলার ইউনিয়নের লেদা রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে একটি এলজিসহ জাহেদা ও দিল মোহাম্মদকে আটক করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। জিজ্ঞাসাবাদে তারা নিজেদের কাছে আরও অস্ত্র আছে এবং তা অপর সহযোগী ডাকাত শফিউল্লাহ শফির কাছে মজুদ থাকার কথা জানায়। রাতে তাদের নিয়ে পুলিশের একটি দল ওই রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অস্ত্র উদ্ধারে যায়। এ সময় তাদের সহযোগী অস্ত্রধারীরা পুলিশের ওপর গুলি ছোড়ে।

তিনি বলেন, আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। একপর্যায়ে সন্ত্রাসীরা পিছু হটলে ঘটনাস্থলে দিল মোহাম্মদ ও জাহেদাকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়। তাদের দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক কক্সবাজার নেয়ার পরামর্শ দেন। রোববার ভোররাতে তাদের কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেয়া হলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক দু’জনকে মৃত ঘোষণা করেন।

টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক টিটু চন্দ্র শীল বলেন, পুলিশ গুলিবিদ্ধ দুই নারী-পুরুষকে নিয়ে আসে। তাদের শরীরে দুটি করে গুলির আঘাত রয়েছে। আহত পুলিশ সদস্যদের চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।

ওসির দাবি, সন্ত্রাসীদের ছোড়া গুলিতে ডাকাত দিলু স্ত্রীসহ নিহত হয়েছে। এসময় পুলিশের তিন সদস্যও আহত হন। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহগুলো কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে রয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

বাংলাধারা/এফএস/এমআর

আরও পড়ুন

এ সম্পর্কিত আরও

সর্বশেষ