বাংলাধারা প্রতিবেদন »
চসিকের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সুদীপ বসাকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।
সোমবার (১৪ অক্টোবর) চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) গণশুনানিতে এমন অভিযোগ করেন চসিকের অবসরপ্রাপ্ত প্রকৌশলী শামসুল হুদা ছিদ্দিকী।
চসিকের অবসরপ্রাপ্ত প্রকৌশলী শামসুল হুদা ছিদ্দিকী অভিযোগ করেছেন, ২০১৬ সালের নভেম্বর মাসে ট্রলি সংস্কার দেখিয়ে মেসার্স মাসুম এন্টারপ্রাইজের নামে ভূয়া বিল তৈরি করে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন সুদীপ বসাক।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, সাগরিকায় একটি নতুন ও একটি পুরোনো অ্যাসফল্ট প্ল্যান্ট আছে। পুরোনো প্ল্যান্টটিতে ৬৩ জন কর্মকর্তা–কর্মচারী আছে। এরপরও সুদীপ বসাক ১২৯ জন লোক নিয়োগ দিয়েছেন, যাদের অধিকাংশই তার আত্মীয়–স্বজন। এছাড়াও সাগরিকায় কর্পোরেশনের পাথর ডিপোতে পাথর গ্রহণ ও বিতরণ হিসাবে গরমিল দেখিয়ে সুদীপ বসাক ২ কোটি টাকা আত্মসাত করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।
বিশেষ সূত্রে জানা যায়, সুদীপ বসাক নগরীর পাঁচলাইশ আবাসিকের পাশে শেভরণ ক্লিনিকের পাশে ফুটপাতের উপর সিটি কর্পোরেশনের সৌন্দর্য বর্ধন প্রকল্পের নামে নামসর্বস্ব ছোট দুটো অকেজো জায়গায় দোকান নির্মাণ করেছেন নিজের পরিবারের নামে।
এমনকি বেনামি অনেক লিখিত অভিযোগও জমা পড়ে সুদীপ বসাকের বিরুদ্ধে। যাতে বলা হয়, ৫০ টন ধারণ ক্ষমতার দুটি ওয়ে ব্রিজ (গাড়িসহ মালামাল মাপক যন্ত্র) স্থাপন ও সরবরাহের কাজ দিয়েছেন সুদীপ তার এক চাচাতো ভাইকে। নিয়ম লঙ্ঘন করে সুদীপ বসাককে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তার তিন সহকর্মী।
তবে শুনানিতে উপস্থিত সুদীপ বসাক এসব অভিযোগ অস্বীকার করে নিয়ম মেনে কাজ হয়েছে বলে দাবি করেন।
দুদক কমিশনার এ এফ এম আমিনুল ইসলাম করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে এ বিষয়ে তদন্ত করে এক সপ্তাহের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
বাংলাধারা/এফএস/এএ













