চবি প্রতিনিধি »
সারাদেশে বিভিন্ন কলেজ এমপিও অন্তর্ভুক্তির জন্য আন্দোলন করছে। সেখানে এমপিও অন্তর্ভুক্তি পেয়েও তা বাতিলের দাবিতে রাস্তা অবরোধ করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত চবি ল্যাবরেটরি স্কুল এ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা। পরে প্রক্টরিয়াল বডির আশ্বাসে আন্দোলন তুলে নেয় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) বেলা ১২টায় অধিভুক্ত বাতিলের দাবিতে আন্দোলন করেছে কলেজ শিক্ষার্থীরা। এসময় আরও পাচটি দাবি জানান তারা। কলেজের শিক্ষকরাও এই দাবির সাথে একাত্মতা পোষণ করেন। এসময় শিক্ষার্থীরা রাস্তায় বালুর বস্তা, বিদ্যুতের খুঁটি এবং গাছের ডাল ফেলে তিন ঘন্টা পর্যন্ত রাস্তা অবরোধ করে রাখেন এবং প্রক্টরিয়াল বডির আশ্বাসের ভিত্তিতে আন্দোলন থেকে সরে আসেন।
দাবিগুলো হলো- অধ্যক্ষ প্রফেসর মোহাম্মদ ফজলুল হককে অপসারণ, সার্বিক বিষয়ে অধ্যক্ষকে জবাবদিহি করতে হবে, কলেজে শিক্ষক সংকট পূরণ, অস্থায়ী শিক্ষকদের স্থানীকরণ এবং টেস্ট পরীক্ষা না দিয়ে এইচএসসি পরীক্ষার অনুমতি প্রদান করতে হবে।
শিক্ষার্থীদের দাবির সাথে একাত্মতা পোষণ করে ইংরেজি বিষয়ের সহকারী অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান বলেন, আমরা শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সাথে একাত্মতা পোষণ করছি। আমরা চাই এমপিও না হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে কলেজটি পরিচালিত হউক।
এই সময় তিনি অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ এনে বলেন, আমরা তার পদত্যাগ দাবি করি। শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা প্রশাসনের কাছে দাবিগুলো সম্পর্কে জানিয়েছি। প্রশাসন আমাদেরকে দাবি মানার আশ্বাস দিয়েছেন। ভর্তি পরীক্ষা শেষ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করবো। ভর্তি পরীক্ষার আবার প্রক্টর অফিসে যোগাযোগ করবো। ততদিনে যদি আমাদের দাবি পূরণ না হয় তাহলে ৩ তারিখ থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য আবেদন চালিয়ে যাবো।
এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর রিফাত রহমান বলেন, আমরা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা ভর্তি পরীক্ষা শেষ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন করবে না বলে জানিয়েছেন।
এদিকে, কলেজ থেকে ১৮ শিক্ষককে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটে আনা হয়েছিল। কিন্তু তাদের অনুমোদন ছিল না।
ইউজিসির নির্দেশনা অনুযায়ী, ২০১৮ সালের ২৪ জুন সকালে ওই ১৬ শিক্ষককে চিঠি দিয়ে কলেজে যোগ দিতে বলা হয়। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সুপারিশ বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে বলে জানান তৎকালীন উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী।
বিশ্ববিদ্যালয় ও সিন্ডিকেট মিটিং সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালে জানুয়ারিতে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন চবি প্রশাসন বরাবর একটি চিঠি পাঠায়। চিঠিতে চবি ল্যাবরেটরি কলেজ থেকে ১৬ শিক্ষককে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইইআর বিভাগে নিয়োগের বিষয়ে সংস্থাটির অনুমোদন ছিল না বলে জানায়। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে ন্যূনতম যোগ্যতা না থাকায় তাদের ফের ওই কলেজে ফেরত পাঠানোর সুপারিশ করে ইউজিসি।
বাংলাধারা/এফএস/টিএম













