২৩ অক্টোবর ২০২৫

সশস্ত্র সন্ত্রাসীর কবল থেকে স্ত্রী-সন্তানকে ফিরে পেতে প্রতিবন্ধি অংপাথুয়াইয়ের আঁকুতি!

রাঙামাটি প্রতিনিধি »

অস্ত্রধারি পাহাড়ি সন্ত্রাসীর কাছ থেকে স্ত্রী-সন্তানকে ফিরে পেতে আইনের আশ্রয় নিয়ে আঞ্চলিকদলীয় সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের প্রাণনাশের হুমকিতে জীবন বাঁচাতে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন অংপাথুয়াই মারমা নামের এক প্রতিবন্ধি যুবক। বিগত এক বছর যাবৎ নিজের স্ত্রী আর দুই বছর বয়সী একমাত্র শিশু সন্তানকে ফিরে পাবার আশায় রাঙামাটি কোতয়ালী থানা থেকে শুরু করে চট্টগ্রামের আদালত পর্যন্ত দ্বারে দ্বারে ঘুরেও কোনো প্রকার আইনী প্রতিকার পাচ্ছে না বলেও অভিযোগ করেছে পিতা-মাতা হারা অসহায় অংপাথুয়াই মারমা।

গতকাল রাঙামাটি শহরে এসে অংপাথুয়াই মারমা স্থানীয় কয়েকজন গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে তার অভিযোগ তুলে ধরেন। এসময় অংপাথুয়াই জানান, গত ২০১৪ সালে রাঙামাটির আদালতে হলফনামার মাধ্যমে রুমিতা তঞ্চঙ্গ্যার সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। এর এক বছরপর সংসারে একটি সন্তান আসে। ভালোভাবেই সংসার চলছিলো জানিয়ে অংপাথুয়াই সাংবাদিকদের বলেন, তার অনুপস্থিতির সুযোগে শ্বশুর-শ্বাশুরী মদদে ঘরের নগদ টাকা-পয়সা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে কাউখালীর নিজ বাসা থেকে স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে চলে যায়।

এরপর আঞ্চলিকদলীয় এক অস্ত্রধারি সন্ত্রাসী খেগারা তঞ্চঙ্গ্যার মাধ্যমে অংপাথুয়াই মারমাকে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে তার শ্বশুর-শ্বাশুরী। তিনি জানান, ২নং মগবান ইউনিয়নের দীঘলছড়ির বাসিন্দা আমার শ্বাশুরী জিটা দেবী তঞ্চঙ্গ্যা প্রভাবশালী একটি আঞ্চলিক দলের চাঁদা কালেটার হিসেবে কাজ করে।

সন্ত্রাসীদের চাঁদাবাজির সকল টাকা পয়সা তার কাছেই রক্ষিত থাকে। সে কারনেই তার বাড়িতে সন্ত্রাসীদের সবসময়ই আনাগোনা থাকে। আমার শ্বাশুর সূর্য মোহন তঞ্চঙ্গ্যা যিনি দীঘলছড়ির দেবাছড়ির স্থানীয় একটি চাকমা দোকানে সশস্ত্র অবস্থ্ায় অবস্থান করে। তিনি গত কিছুদিন ধরেই আমাকে মোবাইলে ফোন করে হুমকি প্রদান করে।

এছাড়া আমার স্ত্রী-সন্তানকে অস্ত্রধারি সন্ত্রাসী খেগারা তঞ্চঙ্গ্যার কাছে আমাকে নাজানিয়ে বিয়ে দিয়ে দিয়েছে। কোতয়ালী থানাধীন ঝগড়াবিল মৌজার তঞ্চঙ্গ্যা পাড়ায় আমার স্ত্রী-সন্তানকে রাখা হয়েছে জানিয়ে উক্ত সন্ত্রাসী আমাকে গুলি করে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছে। বিভিন্ন জনকে দিয়ে আমার বাড়ি-ঘর জ্বালিয়ে দেওয়ার হুমকিও দিয়েছে দিয়েছে।

বর্তমানে চরম নিরাপত্তাহীনতায় দিন কাটাচ্ছেন জানিয়ে অংপাথুয়াই মারমা জানান, আমি নিজের হাতে ভাত খেতে পারিনা, নিজের বাসায় থাকতে পারিনা। আমার স্ত্রী আমাকে ভাত খাইয়ে দিতো। দুইজন প্রতিবেশির কাধে চড়ে রাঙামাটিতে এসেছেন জানিয়ে অংপাথুয়াই মারমার আঁকুতি তার স্ত্রী ও একমাত্র সন্তানকে যাতে প্রশাসন উদ্ধার করে দেয়।

বাংলাধারা/এফএস/টিএম

আরও পড়ুন