৩১ অক্টোবর ২০২৫

পাগলা ঘোড়ার মতো ছুটছে পেঁয়াজের দাম, সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে বেড়েছে ৫০ টাকা

বাংলাধারা প্রতিবেদন »

পেঁয়াজ রফতানি পুরোপুরি বন্ধ করে দিয়েছে ভারত। এর জেরে গোটা দক্ষিণ এশিয়ার পেঁয়াজের বাজারে আগুন লেগেছে। সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, ও নেপালের। এই তিন দেশে কোথাও দ্বিগুণ, কোথাও বা তিনগুণ বেড়ে গেছে পেঁয়াজের দাম। ফলে নগরীর বাজারগুলোতে দফায় দফায় বাড়ছে পেঁয়াজের দাম। সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম কেজিতে ৫০ টাকা বেড়েছে। পেঁয়াজের এমন দামে অনেকটাই দিশেহারা অবস্থা নিম্ন আয়ের মানুষদের।


ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত সপ্তাহে যেসব বাজারে দেশি পেঁয়াজের কেজি ১০০ টাকা বিক্রি হয়, সেই বাজারগুলোতে এখন দেশি পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা কেজি। আর ৯০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকা কেজি।


খুচরা ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, গত এক সপ্তাহে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে তিন দফা। প্রথম দফায় কেজিতে ১০ টাকা এবং পরের দুই দফায় কেজিতে ২০ টাকা করে পেঁয়াজের দাম বাড়ানো হয়েছে। এতে এক সপ্তাহে পেঁয়াজের দাম কেজিতে বেড়েছে ৫০ টাকা।

ব্যবসায়ী জহির বলেন, পেঁয়াজের দাম যে হারে বাড়ছে তাতে আমরাও বিস্মিত। বাণিজ্যমন্ত্রীর পর প্রধানমন্ত্রীও বলেছেন- পেঁয়াজের দাম কমে যাবে। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের পর আমরা ধারণা করেছিলাম এবার হয়তো পেঁয়াজের দাম কমবে। কিন্তু বাস্তবে দেখছি উল্টো।

চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর দিয়ে ৬৬ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি নিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। ভারত রপ্তানি বন্ধের পর থেকে গত সোমবার পর্যন্ত এই অনুমতি নেন ব্যবসায়ীরা। এর মধ্যে প্রায় পাঁচ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। আমদানির অপেক্ষায় আছে ৬১ হাজার টন।

চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরের উদ্ভিদ সংঘ নিরোধ কেন্দ্র জানায়, সবচেয়ে বেশি পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে মিসর থেকে। দেশটি থেকে ৫৮ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি নিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। এর মধ্যে এস আলম গ্রুপের ৫৫ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির ঋণপত্র খোলা হয়েছে। এ ছাড়া বন্দর দিয়ে মিয়ানমার, তুরস্ক, চীন, পাকিস্তান থেকেও পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে।

বাংলাধারা/এফএস/টিএম     

আরও পড়ুন